এবার ঈদেও প্রচারণায় বেশি কমেডি নাটক
বিনোদন ডেস্ক:
কমেডি নাটকের চাহিদা বছর জুড়েই থাকে। কিন্তু ঈদ কিংবা যে কোন উৎসব-আয়োজনে এর চাহিদার পারদ যেন বেড়ে যায়। গত কয়েক বছরে ঈদে প্রচারিত নাটকের তালিকায় চোখ বুলালে এমনটাই খুঁজে পাওয়া যায়। এসব নাটক-টেলিছবিতে দেখা গেছে তারকা অভিনয়শিল্পীদের।
রাজধানীর বিভিন্ন শুটিং হাউজে হাউসে নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই একই জায়গায় একাধিক নাটকের শুটিং করছেন। বিভিন্ন শুটিং স্পটে এবং কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে কমেডি গল্প নিয়েই বেশি কাজ করছেন তারা।
এই ঈদে বেশ কয়েকটি কমেডি গল্পের নাটকে দেখা যাবে সালাহউদ্দিন লাভলুকে। বেশি কমেডি নাটক হওয়ার প্রসঙ্গে এই অভিনেতা ও নির্মাতা বলেন, গেল কয়েক বছরের ঈদে কমেডি নাটকের আধিপত্যও ছিলো বেশি। কিন্তু আগে এই দৃশ্য ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হতো। কিন্তু মার্কেটিং বিভাগ যখন অনুষ্ঠান বিভাগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয় তখনই কমেডি নাটকের আধিক্য চলে আসে, আর সেটাই হয়েছে। শুরু হলো কমেডি নাটক নির্মাণের প্রচলন। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছি না। তারা বলছেন, ঈদের নাটকে দর্শক আনন্দ চায়। কিন্তু এটা যে তাদের ভুল ধারণা। কেননা অনেক সিরিয়াস নাটকই ঈদে দর্শক বেশ উপভোগ করছেন।
আসছে রোজার ঈদের জন্য অভিনেতা ও নির্মাতা শামীম জামান নির্মাণ করছেন বেশ কয়েকটি কমেডি নাটক। তারমধ্যে- ‘গরম সরকার’, ‘বুঝলে বুঝপাতা’, ‘রতনে রতন চেনে’, ‘গুরু শিষ্য টু’সহ রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি নাটক। দর্শক বিনোদন চায় বলেই এমন নাটক নির্মাণ করছেন বলে জানান তিনি। পক্ষান্তরে হাসলেই যে বিনোদন হয় না সেই পক্ষেও রয়েছেন এই নির্মাতা। অনেক নাটকে দর্শককে জোর করে হাসানো হচ্ছে। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষেও রয়েছেন শামীম জামান। এছাড়া সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে রোমান্টিক কমেডি গল্পের সাত পর্বের নাটক ‘হোয়াট ইজ লাভ’।
এতে আবারো জুটি হয়েছেন মোশাররফ করিম ও সারিকা সাবা। গোলাম রাব্বানীর রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন তুহিন হোসেন। পুবাইলে গেলো ৭ এপ্রিল যমজ-১৫ নাটকের দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তিনটি চরিত্রে। নাটকটির নির্মাতা আজাদ কালামের কথায়, কমেডি গল্পের যমজ নাটকটি দর্শক গ্রহণ করছে বলেই এটি নির্মাণ করছি। আশা করি এটি এবারো দর্শকের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে।
বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান তারেক আখন্দ বলেন, টিভিতে কমেডি নাটকের প্রচলন বেড়েই চলেছে। আগে নাটকে কৌতুক থাকলেও সেখানে জীবনবোধের ইঙ্গিত পাওয়া যেত। এখন মজার নামে ভাঁড়ামি হচ্ছে। বিনোদনমূলক নাটক হাসির হতে পারে, এতে দোষের কিছু নেই। নাটকটিতে যেন বক্তব্য থাকে। নাটক-টেলিছবি প্রচারের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আমরা খেয়াল রাখি।