শ্যামনগরের গাবুরায় নদীর চরে চলছে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা!
এস এম সাহেব আলীঃ
শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন ১২ নং গাবুরার ৯ নং সোরা নদীর চরে চলছে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা।
সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাবুরার ৯ নং গ্রামের শওকত গাজীর পুত্র আব্দুল বারিক গাজী ও একই গ্রামের আকছেদ গাজীর পুত্র মনিরুল ৯ নং সোরায় পাউবো রাস্তা সংলগ্ন নদীর চরে ইট দিয়ে পাকা স্থাপনা তৈরি করছে। এই অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মান বিষয়ে
আব্দুল বারিক গাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসিআর রয়েছে, এবং চেয়ারম্যান এর অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল রারিক, মনিরুল সহ পাশে আরেক পাকা স্থাপনা তৈরি হয়েছে, এরা গায়ের জোরে এগুলো করে থাকে, কাউকে তোয়াক্কা করে না, হিংস্র প্রকৃতির লোক, ঐ এলাকায় নানান ভাবে ঝগড়ার বিবেধ করে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান নদীর চরে গড়ে ওঠা সবুজ বনায়ন ধ্বংস করে এই হিংস্র প্রকৃতির লোক জন প্রথমে দেয়াল বা কাট দিয়ে ঘর নির্মান করে,ধীরে ধীরে জায়গা দখল করে এর পর ঐ জায়গা পাকা স্থাপনা তৈরি করে।
এটা তাদের একটি কৌশল,।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিশেষ দাবী এই চিহ্নিত ভূমিহীন রপের ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নদীর চরের জায়গা উন্মুক্ত করে দুর্যোগকবলিত দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরাকে সবুজ বনায়নের সুযোগ সৃষ্টি করতে।
এ ব্যাপারে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউ/পি সদস্য জি এম মুনজুর হোসাইনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এই অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা করছে, এটা তাদের অন্যায়, এরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে থাকে, আমি ঐ ওয়ার্ডের ইউ/ পি সদস্য আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, তবে এরা চেয়ারম্যান ও মেম্বরের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন কথা বলে।
এটা অবৈধ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জানাই এর সঠিক ব্যবস্থা দয়া করে কতৃপক্ষের নিকট দাবী রাখব।
যাহাতে আধুনিক গাবুরা ইউনিয়নে সবুজ বনায়ন বৃদ্ধি করার অন্যতম ৯ নং সোরার নদীর চর, উন্মুক্ত হোক ভূমিদস্যুদের হাত থেকে।
অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা তৈরির বিষয়টি সম্পর্কে ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি আগামীকাল তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা গ্রহন করব।