সারাদেশে কালবৈশাখীতে ৬ জনের মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক:
সারাদেশে বুধবার কালবৈশাখী ঝড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম ও বরিশালের দুইজন করে এবং একজন করে কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরের।
চট্টগ্রাম
কালবৈশাখীর কারণে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটি স্পিডবোট সন্দ্বীপের কাছে ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। এ ঘটনায় এক কিশোরী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় স্বর্ণদীপ হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্পিডবোটটি সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটের দিকে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরে গাছচাপায় মারা গেছেন রিনা আক্তার নামে এক নারী।
কুমিল্লা
কুমিল্লায় কালবৈশাখী ঝড়ে সিএনজি অটোরিকশার উপরে গাছ পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার শলফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটি বাঙ্গরা থানা এলাকার খোশঘর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। আহতরা হলেন, চালক সবুজ, যাত্রী নার্গিস আক্তার, ফাতেমা বেগম ও হাসান।
জানা যায়, অটোরিকশায় করে রামচন্দ্রপুর থেকে শ্রীকাইল যাচ্ছিলেন পাঁচজন। শলফা এলাকায় ঝড়ের কারণে একটি গাছ তাদের অটোরিকশার উপরে পড়ে। এতে পাঁচজনই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঝড়ো হাওয়ায় নারিকেল গাছের নিচে চাপা পড়ে রুহুল আমিন নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে ঐ উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের মধ্য কেরোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত রুহুল আমিন একই গ্রামের মাঝি বাড়ির শফি উল্লাহর ছেলে।
রুহুল আমিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে রুহুল আমিন বাড়ি থেকে বের হয়ে দোকানে যান। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বাড়ি আসার পথে নারকেল গাছের নিচে চাপা পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জেরিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ঐ বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল
বরিশালেরে মেহেন্দিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর চাপায় শ্বশুর ও পুত্রবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঐ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের গাগুড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মাহামুদ হাসান ব্যাপারী জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে গাগুড়িয়া এলাকায় ৮-১০টি ঘর ভেঙে পড়ে। তখন ঘর চাপায় রুস্তুম আলী হাওলাদার ও তার ছেলে বারেক হাওলাদারের স্ত্রী জয়নব বিবি মারা যান। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।