নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের পেছনে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় খাবার দোকানের তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে ‘একাধিক গোষ্ঠির’ উসকানির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সন্দেহভাজন অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, উসকানিদাতাদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকায় কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে সন্দেহভাজন যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই হকার ও দোকান কর্মচারী। এ ছাড়া ঢাকা কলেজের কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের কয়েক নেতার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে গোয়েন্দারা।
এদিকে, ব্যবসায়ী-কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার পর বুধবার পরিস্থিতি শান্ত হলেও পুরোপুরি সচল হয়নি নিউমার্কেট এলাকা। সেখানকার সব মার্কেটের দোকানপাট বুধবার সারাদিন বন্ধ ছিল। ঢাকা কলেজের প্রধান ফটক ছিল তালাবদ্ধ। নতুন করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। পুরো এলাকায় মোতায়েন আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
মঙ্গলবারের মতো আজ (বুধভার) ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের রাজপথে কোনো ধ্বংসাত্মক তৎপরতা ছিল না। শিক্ষার্থীরাও সারাদিনে রাস্তায় নামেনি। কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরের পরিবেশ ছিল থমথমে। ক্যাম্পাসের ভেতর দুই-চারজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছিল কর্মচারীদের অবস্থান। কলেজের প্রধান ফটক ছিল তালাবদ্ধ। তবে সকালের বৃষ্টিতে ভিজে ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে সহাবস্থান জানাতে নিউমার্কেট এলাকায় যায়। বৃষ্টিতে ভিজে তারা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। পরে পুলিশ বুঝিয়ে তাদের ফেরত পাঠায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হোটেল কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। পরে তা রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। পুরো নিউ মার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সোমবার রাতে শুরু হয় সংঘর্ষ থেমে থেমে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত চলে। কটি কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান নাহিদ দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সব ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেন এবং শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেন।