অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ আত্মসাত, ইউপি সদস্যদের
সম্মানি না দেওয়া এবং মাসিক সভা না করে ইচ্ছামত পরিষদ পরিচালনাসহ নানা
অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল
গাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯জন ইউপি সদস্য। তাদের
পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইউপি সদস্য নেছারুল্লাহ আল মামুন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত পহেলা জানুয়ারী ২০২২ তারিখে ভোমরা
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আমরা সকল ইউপি সদস্যগণ শপথ গ্রহণ করি।
পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত.
কিনু গাজীর পুত্র ইসরাইল গাজী ইচ্ছামত পরিষদ পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি
ইউপি সদস্যদের কোন মূল্যায়ন করেন না। পরিষদে কোন মাসিক সভা আহ্বান করেন
না। পরিষদের নিজস্ব আয়ের অর্থ ইউনিয়নের কোন উন্নয়ন কাজে না লাগিয়ে ভূয়া
বিল ভাউচার করে তা আত্মসাত করেন। ইউপি সদস্যদের মাসিক সম্মানিও তিনি দেন
না। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের প্রকল্পগুলো কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই
স্বেচ্ছাচারীভাবে বাস্তবায়নের নামে তা আত্মসাত করে চেয়ারম্যান নিজের পকেট
ভারী করে চলেছেন। এসব বিষয়ে ইউপি সদস্যরা কথা বলতে গেলে তাদের মিথ্যা
মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন ইউপি
চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী। তিনি পূর্বে ৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন এবারও
নির্বাচিত হয়েছেন। তার সময়ে অত্র ইউনিয়নের একটি রাস্তাঘাট সংস্কার করা
হয়নি। জেলাব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও
ভোমরা ইউনিয়নের কোন ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়াও লাগেনি। তিনি কোন কাজ না করেই
টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। মেম্বররা তার বিরোধীতা করলে তিনি বলেন টাকা
দিয়ে ভোট কিনেছি, ১ কোটি টাকা খাটিয়ে ব্যবসা করেছি, ৫ কোটি টাকা উত্তোলন
করবো, সে টাকা এখান থেকে তুলে নিয়ে যাবো।
তারা আরো বলেন, তার অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে আমরা পরিষদের ৯জন ইউপি সদস্য
একত্রিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক
ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এতে
চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের (ইউপি সদস্যদের) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
দায়ের করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেছেন। ইতিমধ্যে আমরা
ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীর বিরুদ্ধে ৯ জন মেম্বর একমত পোষণ করে
অনাস্থা জ্ঞাপন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা
জনপ্রতিনিধি হয়েছি ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য, ইউনিয়নের মানুষের সেবা করার
জন্য। পরিষদের টাকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। বিগত সময়েও ইউপি
সদস্যদের অবমূল্যায়ন করায় এবং পরিষদের অর্থ আত্মসাথের কারনে কয়েকজন ইউপি
সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এ সময়
অর্থলোভী চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীর কবল থেকে ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদকে রক্ষা
এবং পরিষদের সদস্যদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট
কর্র্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)