শ্রীউলায় মৎস্য ঘেরের বাসায় আগুন, নানা গুঞ্জন
জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরের বাসায় আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আসলে কি কেউ আগুন দিয়েছে না কি নিজের বাসায় নিজে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে জব্দ করার ষড়যন্ত্র- এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আঃ রহমান গাজীর ছেলে খলিলুর রহমানের একই গ্রামের মৃতঃ সোহরাব সরদারের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও পিটিশন ৬৫৭/২২ নং মামলা চলমান রয়েছে। মামরা দায়েরের পর থেকে মিজানুর দিং বাদী খলিল দিংকে জব্দ করতে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মিজানুরের ডিড নেওয়া মৎস্য ঘেরের বাসায় আগুন দেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গেলে জমির মালিক ফারুক হোসেন জানান, কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত ওয়াদুদ সরদারে ছেলে মুছা সরদারকে তিন বছরের জন্য ডিড মূলে ঐ জমি তিনি হস্তান্তর করেন। ঘুর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী সময় জমি ডিড দিয়ে পরিবার নিয়ে নিজ জন্ম ভূমি দেবহাটা থানার সন্নাসীরচক গ্রামে তিনি চলে যান। বিগত ইউপি নির্বাচন পরবর্তী গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দের জের ধরে ১৮ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে তিনি জানতে পারেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার ডিড দেওয়া ঘেরে রেখে আসা বাসায় রাতের কোনো একসময় আগুন দিতে পারে। জানা মাত্রই তিনি ডিড গ্রহিতা মুছার মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। পিং ৬৫৭/২২ মামলার বাদী খলিলুর রহমান বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে বিবাদীরা ষড়যন্ত্র করে আসছিল।
এরই জেরধরে মুছা দিং নিজেদের ঘেরের বাসায় আগুন দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করছে জানতে পেরে রাত্র ১০ টার দিকে পুলিশকে ফোন করি। এছাড়া মুছার চাচাত ভাই বাবু ও মিজানুরের ফুফাত ভাই শরিফুলকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। কিন্তু ঠিকই তারা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মঙ্গলবার দিবাগত শেষ রাতে নিজেদের বাসায় আগুন দেয়। এবই আবার নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এব্যাপারে পার্শ্ববতী লোকজনের সাথে কথা বললে তারা ঘেরের বাসায় আগুন লাগানোর ঘটনাটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, বিশেষ কাজে বিকাল ৩ টা অব্দি বাহিরে ছিলাম। যদি কেহ এমন অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে রাতেই দেখব। তিনি আরো বলেন ঘটনাটি যেই ঘটাক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।