রাজধানীর যানজট নিয়ে যে আশা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে রাজধানীর যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে রাজধানীর যানজট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনেকগুলো উন্নয়ন কাজ চলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের কারণে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এই যানজটের জন্য সেটিও একটি কারণ। এ ছাড়া কোভিডের পর সবকিছু খুলেছে, আবার ঈদও এসে গেছে। সবাই মার্কেটমুখী। যানজটের কিছু কারণের মধ্যে এগুলোও অন্যতম।
‘যানজট নিরসনের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ বিভাগ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আগামী সাত দিনে তারা কী করবেন, তার একটি কর্মপদ্ধতিও তারা বের করেছেন। আশা করি, দুই-এক দিনের মধ্যে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে।’
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে যানজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কূটনৈতিক পাড়াসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং দেশের সব বন্দরে পুলিশের টহল জোরদার থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে। বিশেষ-বিশেষ রাস্তা ও মোড়ে চেকপোস্ট এবং জাল টাকার বিস্তার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পোশাককর্মীদের ঈদের ছুটির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় বড় শিল্প-কারখানাগুলো যদি একসঙ্গে ছুটি দেয় তাহলে আমাদের হিসাবে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ঢাকা ত্যাগ করবে। তারা শুধু শ্রমিক, এর সঙ্গে অন্য মানুষ তো আছেই। কাজেই যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। পর্যায়ক্রমে ছুটিগুলো দিলে সেটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার জন্য বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় করতে না পারে, সেজন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নজর রাখবে।