নীলক্ষেতে সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর, হামলার শিকার সাংবাদিকরাও
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এ সময় ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন সংবাদকর্মীও।
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ‘সঠিক তথ্য না দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে লাইভে থাকা সাংবাদিকদের বাধাও দিয়েছেন তারা।
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ঢাকা কলেজ প্রান্তে একদল সাংবাদিক ও নিউমার্কেট এলাকায় আরেকদল সাংবাদিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় সংঘর্ষের খবর লাইভ সম্প্রচারও করছিল বিভিন্ন টেলিভিশন। এ সময় ব্যবাসায়ীদের কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে কিল ঘুসি মারা শুরু হয় সাংবাদিকের ওপর। এরপর অন্য ব্যবসায়ীরা এসে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, একাত্তর টিভির মহিন মিজান ও তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরা পারসনকে কিলঘুসি মেরেছে তারা। দীপ্ত টিভির আসিফ সুমিতকে নাজেহাল করতে দেখা গেছে। এসএ টিভির সাংবাদিক তুহিন ও ক্যামেরা পারসন কবিরসহ একটি টিমের ওপর হামলা করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইলে ও ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচারকারী বিভিন্ন গণমাধ্যমকারীদেরকেও মারধর করে তাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ছোড়া ইটের আঘাতে একজন অন্তত ৬ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। একজন আহত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীরা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে কাচ ভেঙে দেয়।
এক দোকানে খাবারের বিল পরিশোধ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সোমবার মধ্যরাতে দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আবারও চলে এ সংঘর্ষ।
দুপুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করলে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সংঘর্ষে জেরে ঢাকা কলেজের সব আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে হল।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ এ তথ্য জানানো হয়।