বাস্তবের ‘কেজিএফ’ সম্পর্কে যা জানা গেল
অনলাইন ডেস্ক: মুক্তির পর বক্স অফিসে রীতিমত ঝড় তুলেছে যশ অভিনীত ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’। আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ ভালো সংগ্রহ করছে সিনেমাটি।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে যাচ্ছে কেজিএফ-২।
পিঙ্কভিলার প্রতিবেদনে পূর্বাভাস, দুই দিনে ভারতের বক্স অফিসে প্রায় ২৩০ কোটি রুপি (গ্রস) সংগ্রহ করেছে সিনেমাটি।
সিনেমার তৃতীয় সংস্করণ নির্মাণের ইঙ্গিত যখন পাওয়া যাচ্ছে তখন অনেকেই জানতে চাচ্ছেন বাস্তবেই কি ‘কেজিএফ’ আছে?
যেখানে গর্ত খুড়লে মেলে সোনা।
জানা গেছে, বাস্তবেই রয়েছে কেজিএফের অবস্থান। যার পুরো নাম কোলার গোল্ড ফিল্ডস। যশের সিনেমার নাম মূলত এই খনির নাম থেকেই দেওয়া হয়েছে।
এ খনিটি রয়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোলার জেলায়। আর ‘কেজিএফ’ সিনেমাটিও এই কর্ণাটক রাজ্যে নির্মিত।
বাস্তবের কেজিএফের আয়তন ৫৮ বর্গকিলোমিটারের বেশি। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি।
ইতিহাস বলছে, খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দিতেই এখানে খনন শুরু হয়। যার ফলে এটিকে বলা হয় ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন স্বর্ণখনি।ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে কোলার গোল্ড ফিল্ডস থেকে বিপুল স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়েছিল। বিংশ শতকের শেষ দিকে স্বর্ণের দাম কমে যায়। এ কারণে কেজিএফ লোকসানে পড়ে। ২০০১ সালে খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ‘কেজিএফ’ এর কাহিনী মূলত ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ দশকের প্রেক্ষাপটে। একজন অনাথ বালকের গ্যাংস্টারে রূপান্তরিত হওয়ার নানান কাহিনীকে ঘিরেই এর চিত্রনাট্য নির্মিত। যেখানে মূল ভূমিকায় দক্ষিণী সুপারস্টার যশকে এবং তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রীনিধি শেঠি।
যশ ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত, রাভিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মাতা প্রশান্ত নীল।