‘বন্ধুরাষ্ট্রের তথ্যে এবার বর্ষবরণে বাড়তি নিরাপত্তা’
অনলাইন ডেস্ক :
এবার পহেলা বৈশাখে বর্ণিল আয়োজনে রাজধানীসহ সারা দেশে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।করোনার কারণে গত দুই বছর বৈশাখ উদযাপন করতে পারেনি বাঙালি। এরমধ্যে গত বছর পহেলা বৈশাখে প্রতীকী আয়োজনে কেবল মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছিল।
মঙ্গলবার রমনা বটমূলে নিরাপত্তা প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কিছু বন্ধুরাষ্ট্র জঙ্গিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ (বার্তা) দিচ্ছে। উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু রেডিক্যালাইজড সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করছি। সেকারণেই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা।’
তাছাড়া ২০০১ সালে রমনা বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে প্রতিবারই বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো হামলার আশঙ্কা আমরা করছি না। যেহেতু নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে ডিএমপি কমিশনার এও বলেন, ‘লোন উলফ (একাকী নিজে থেকে প্ল্যান) কেউ একটা ছুরি বা ব্লেড নিয়ে যদি হামলা করে, এটাতো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রমজানের মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে। তাই কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রমজান চলমান থাকায় এবার ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনা এলাকায় সকালে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড দিয়ে ‘সুইপিং’ করেছে, সন্ধ্যায় এবং বুধবারও করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারির আওতায় থাকবে।