কলারোয়ায় নয়নকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানালো হাজারো মানুষ

কলারোয়া সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে নয়নকে শেষ বিদায় দিতে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, কলারোয়া পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, সাতক্ষীরা জেলা মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর তাজুল ইসলাম রিপন, কলারোয়া উপজেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিমুজ্জামান টিপু, মানবিক কলারোয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী হাসিবুল হোসাইন রিয়াজ প্রমুখ।

কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান, পাবলিক ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শেখ কামাল রেজা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বাবু, বাপ্পি, প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, মাস্টার শেখ শাহাজাহান আলী শাহীন, মানবিক কলারোয়া ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ছাত্রসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ নামাজে জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন।

জানাযায় ইমামতি করেন কলারোয়া উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মতিউর রহমান।

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মেধাবী ছাত্র নয়ন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সন্মান দ্বিতীয় বর্ষের চলমান শিক্ষার্থী ও উপজেলার বাপ্পি টেলিকমে (মোবাইল) রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

কলারোয়া পৌরসদরের ৮নং ওয়ার্ডের মুরারীকাটি গ্রামের ভ্যানচালক রুহুল আমিনের ছেলে নয়ন পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ও নিজের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে কলারোয়া বাপ্পি টেলিকমে রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কাজ করে লেখাপড়া চালাচ্ছিলেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ৪ মাস আগে নয়নের গায়ে জ্বর অনুভব করলে পরে রক্ত পরীক্ষায় ব্লাড ক্যান্সার নামক জটিল দুরারোগ্য ব্যধি ধরা পড়ে। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটলে প্রথমে রাজধানীর মহাখালী ক্যন্সার ইনস্টিটিউটে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি । রবিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়ন মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে নয়নের মৃতদেহ রাতেই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি মুরারীকাটি নিয়ে আসা হয়।

এদিকে হাস্যোজ্জ্বল সদালাপী অল্প বয়সী তরুণ নয়নের বেদনাদায়ক মৃত্যুতে কলারোয়া উপজেলা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিটি মানুষ ডুকরে কাঁদছে প্রিয় নয়নের জন্য।

প্রসংগত; নয়নের ব্যয়বহুল চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে তার সহাপাঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন। নয়নের চিকিৎসায় ২৮ থেকে ৩০ লাখ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। নয়নের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহে প্রাণপণ চেষ্টা করে ‘মানবিক কলারোয়া ফাউন্ডেশন’র একঝাঁক উদীয়মান তরুণ। অবশেষে তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নয়ন হোসেন রাজু।