কলারোয়ায় একটি নুডুলস কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন
Post Views:
৩২৪
কামরুল হাসানঃ
কলারোয়ায় ভাড়া বাড়িতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা অনুমোদনহীন নুডুলস কারাখানায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পুড়ে গেছে কারখানায় নুডুলস ও নুডুলস তৈরির উপকরণসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৮টার দিকে কলারোয়ার কলাগাছি মোড়ের নিকটবর্তী বামনখালি সড়কের ধারে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তারুল ইসলামের বাড়িতে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মুক্তার মাস্টারের বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে জনৈক ইব্রাহিম হোসেন একটি নুডুলস কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে তৈরি করা হতো অনুমোদনহীন নুডুলস। স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব আবুল হাসান জানান, সকাল ৮টার পরপরই তিনি বাসা থেকে চিৎকার চেচামেচি শুনে বাইরে তাকিয়ে দেখেন পার্শ্ববর্তী বাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। ঘন্টাধিক সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার সাব অফিসার রেজাউল ইসলাম। তিনি জানান, দুটি ইউনিটের ১৫ সদস্যের প্রাণপণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। রেজাউল ইসলাম জানান, তৈরিকৃত নুডুলস গ্যাসের চুলায় মেশিনের সাহায্যে শুকানোর সময় আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ঘটনার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কম হতে পারতো।
সাইনবোর্ড বিহীন অবৈধ নুডুলস কারখানার সত্ত্বাধিকারী ইব্রাহিম হোসেন জানান, আগুনে তার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, কলারোয়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব অবৈধ নুডুলস, সেমাই, ট্যাং কারখানা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে কারখানা স্থাপন করলেও যেন দেখার কেউ নেই। এব্যাপারে এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।