দুর্নীতির দায়ে খাদ্যগুদামের ওসিসহ ৩ জনকে প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক :

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি এলএসডি) তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিক যুগান্তরকে জানান, গত ২২ মার্চ রাত ১০টার দিকে বিএমচর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার জুবাইরুল ইসলামের গুদামে অতিরিক্ত চাল রাখার দায়ে কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রূপান্তর চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ওই সময় গুদামে থাকা অতিরিক্ত ১৮০ বস্তা চাল জব্দ করে গুদামটি সিলগালা করা হয়। পরবর্তীতে চকরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিক বাদী হয়ে গুদামে অতিরিক্ত ও নিম্মমানের চাল রাখার দায়ে ডিলার জুবাইরুল ইসলামকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

এ ঘটনায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত এক সপ্তাহ তদন্তে ওই ঘটনায় চিরিঙ্গা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায়, মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সুপারিশে চিরিংগা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান খানকে প্রত্যাহার এবং নিরাপত্তাপ্রহরী টিকলু চৌধুরীকে কুতুবদিয়া ও আলাউদ্দিনকে উখিয়া উপজেলায় শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

বিএমচর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার জুবায়ের জানান, চিরিঙ্গা খাদ্যগুদাম থেকে গত ১৭ মার্চ সংগ্রহ করা ৩৯১ বস্তা চাল তার নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘চাউল বিতান’ গুদামে সংরক্ষণ করা হয়।

ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৯১ বস্তা চাল দেওয়ার কথা থাকলেও খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান খান তাকে নিম্নমানের চাল দেন।

ডিলার জুবাইরুল বিষয়টি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিককে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ২০ মার্চ রাতে চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান খানের নির্দেশে খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরী টিকলু চৌধুরী ও আলা উদ্দিন দুটি ট্রাকে করে ৩৮০ বস্তা ভিয়েতনামের চাল ডিলারের গুদামে রেখে আসে এবং সেখান থেকে একটি ট্রাকে করে ২০০ বস্তা নিম্নমানের চাল চিরিংগা খাদ্য গুদামে নিয়ে গেলেও আরও ১৮০ বস্তা চাল রাত বেশি হয়ে গেছে অজুহাতে গুদামে রেখে যায়। চালগুলো পরের দিন সকালে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যগুদামের ওসি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিম্নমানের চাল বিতরণ করতে চাপ প্রয়োগ করেন ডিলারকে। ২২ মার্চ রাতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা গুদামে থাকা ১৮০ বস্তা অতিরিক্ত ও নিম্নমানের চাল জব্দ করেন।

চিরিংগা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তার অপরাধ কর্মের নীরব সাক্ষীদের তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)