সুস্থ থাকতে ভাতই ভালো, জানুন ছয় রকম চালের উপকারিতা

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক :

কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। যত খাবারই সারাদিন খাওয়া হোক না কেন, একবেলা ভাত না খেলে মনে হয় যেন পেট-ই ভরেনি। এক কোথায় ভাত না খেলে রাতে ঘুমই আসে না আমাদের। তাইতো নিয়ম করে দুইবেলা ভাত খেয়ে থাকেন সবাই।

ভাত স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো। তবে সব চালের ভাতই যে স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন তা নয়। এই প্রতিবেদনে রইল এমন ছয় রকম চালের কথা যেগুলো শুধু সুস্বাদুই নয়, শরীরেরও খেয়াল রাখে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-

বাসমতী চাল

শরীরে এনার্জি বজায় রাখতে এর তুলনা নেই। বাসমতী চালের ভাত দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। দেশের যে কোনো জায়গায় পাওয়া যায় এই চাল এবং দামও আয়ত্তের বাইরে নয়।

জেসমিন চাল

এখনই খুব চেনাজানা না হলেও দুর্দান্ত স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণের জন্য খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেসমিন চাল। এখন বহু রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে এই চালের ভাত। প্রচুর পরিমাণ অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় মস্তিষ্কের জন্য উপকারী এটি। শরীরে বিষক্রিয়া ঠেকাতেও এর জবাব নেই।

হরেক রকম চাল।

হরেক রকম চাল।

লাল চাল

লাল চালের উপকারিতা নানাবিধ। প্রথমত, লাল চালে প্রচুর পরিমাণে বি৬ ভিটামিন রয়েছে যা শরীরে প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা এবং সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে খুব সুস্বাদু নয়, কিন্তু রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। তাই স্বাদ অগ্রাহ্য করে খেতেই পারেন লাল চালের ভাত।

বাদামি চাল

যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য ব্রাউন রাইস অত্যন্ত উপকারী। কারণ এতে ক্যালরির মাত্রা কম। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোয় এটি হৃদরোগের জন্যেও ভালো। বাদামি চালের ভাত প্রতিদিন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনো সমস্যা হয় না।

আঠালো চাল

সাদা ভাতের মতো জনপ্রিয় নয় এই চালের ভাত। এতে উপস্থিত তামা এর অণুগুলোকে একসঙ্গে ধরে রাখে তাই এই চালের ভাত আঠালো প্রকৃতির হয়। বেশ দামি এই চাল খুব একটা সুলভ নয়, তবে ভাত বানাতে একেবারে কম সময় লাগে। সবথেকে বড় কথা, অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

সিদ্ধ চাল

বাকি অঞ্চলে আতপ চালের চল থাকলেও বাংলায় সিদ্ধ চালই খাওয়া হয়। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনে ভরপুর সিদ্ধ চাল হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রয়েছে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। ক্যান্সারের কোষ তৈরি হওয়া আটকাতে এমনকি অ্যালঝাইমার্স রোগ প্রতিহত করতেও দারুণ কাজ করে এটি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)