সাতক্ষীরার মাধবকাটি ১১ টি নাশকতা মামলার আসামী ওয়ারেশ আলীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার মাধবকাটির চিহ্নিত ভ‚মিদস্যু ও ডাকাতিসহ ১১ টি নাশকতা মামলার আসামী ওয়ারেশ আলীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার মাধবকাটি গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর পুত্র ভুক্তেভোগী শফিকুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একাধারে ফোরকানিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার
সভাপতি, মাধবকাটি প্রাইমারী স্কুলের সহ-সভাপতি ও কাঁচা বাজার জামে মসজিদের সদস্য
এবং বলাডাঙ্গা হেফজখানার সদস্য। একই এলাকার মৃত মাদার মোড়ল ওরফে পাগলা মোড়লের পুত্র
ওয়ারেশ আলীর সাথে আমার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আমাকে সর্বশান্ত ও হয়রানির করার
জন্য বিগত ২০০৯ সালের পহেলা অক্টোবর ওয়ারেশ আলী তার কন্যাকে দিয়ে ধর্ষন চেষ্টার একটি
মিথ্যা নাটক সাজিয়ে নিজে বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের
করেন। ওই মামলা খারিজ হওয়ার পর বিগত ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারী তিনি আমার বিরুদ্ধে
আদালতে আরো একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। এরপর তার আতœীয় স্বজনদের
বাদী করে তিনি আদালতে একের পর এক আমার নামে পেন্ডিং মামলাসহ মোট ৯ টি মামলা
দায়ের করেন। সর্বশেষ আমি ঢাকায় থাকাকালিন সময়ে ওয়ারেশের কন্যার আতœীয় ডাকাতী
মামলার আসামী গদাঘাটা গ্রামের মিজানুর রহমানকে দিয়ে সদর থানায় একটি এজাহার
দায়ের করেন। আমি বাড়ি ফিরে আসার পর ওয়ারেশ ও এই মামলা বাদী মিজানুর ২০২১ সালের ১৭
ডিসেম্বর পুলিশ নিয়ে আমাকে চিনিয়ে দেন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর পুলিশ আমাকে আটক
করে ছিনতাই মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেন। ভ‚মিদস্যু ওয়ারেশ আলীর হাত থেকে রক্ষা পেতে
চলতি বছরের গত ৮ মার্চ আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে একটি সংবাদ
সম্মেলন করি। এঘটনায় ওয়ারেশ আলী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ মার্চ জঘন্য মিথ্যাচার করে
আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যা পরদিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সেখানে ওয়ারেশ আলী বলেছেন আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার একটিরও নাকি বাদী
তিনি নন। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত পক্ষে তিনি আমার বিরুদ্ধে যে ৯টি মামলা করেছেন এর মধ্যে ৫টি মামলার বাদী
ওয়ারেশ আলী নিজেই। আর বাকী ৪টি মামলার বাদী তার আতœীয় স্বজন। যার সকল কাগজপত্র ও
মামলার এজাহারের কপি আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। যা সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য
বেরিয়ে আসবে। ধর্মীয় লেবাসে ওয়ারেশ আলী মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি আরো
বলেন, মাধবকাটি মৌজার এস.এ ২৯৪ ও ২৩২ নং খতিয়ানে ১৬১ ও ১৬২ দাগের ১.৪ একর ‘ক’
তফসীলভুক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখল করায় ওয়ারেশ আলীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আতিয়ার রহমান যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের
করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকাতী মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালে
শিক্ষক আতিয়ার রহমান কোন উপায় না পেয়ে চাকুরি বাঁচাতে অন্যত্র চলে যান। পরে ওই
সম্পত্তির ভূয়া দলিল করে ওয়ারেশ আলী ভোগদখল করেন। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি
করে তিনি তা আত্মসাৎ করেছেন। এরপরও তিনি ও তার পুত্র আবুল বাশার ধোয়া তুলশীপাতা
দাবি করেছেন। অথচ আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এলাকাবাসী তার
বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন। কোন ভালো
মানুষের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী এভাবে গণস্বাক্ষর করে কি না তা আমার জানা নেই। ওয়ারেশ
আলীর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ১১টি নাশকতার মামলা রয়েছে। আর তার ছেলে আবুল বাশারের
বিরুদ্ধে ৬টি চেক জালিয়াতি ও ৭টি নাশকতার মামলা রয়েছে। ওই ডাকাত ও জালিয়াত চক্রের
ষড়যন্ত্রে আমি আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় মিথ্যা
মামলার বাদী ওয়ারেশ গংয়ের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ
কামনা করেছেন।