বাজারে ক্রেতা সংকট, কমলো সয়াবিন তেলের দাম
নিউজ ডেস্কঃ
ক্রেতাশূন্য ভোগ্যপণ্যের বাজারে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ বাড়ায় বিক্রি বাড়াতে অবশেষে পাইকারী পর্যায়ে সয়াবিন তেলের লিটারে ৯ টাকা কমাতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে কেজিতে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দাম। এমনকি ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত কমেছে চিনি ও ছোলার দামও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি বলে দিচ্ছে পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোদমে সচল রয়েছে। বিপরীত দিকে ডেলিভারি অংশে যানবাহনশূন্য বলে দেয় বাজারে ক্রেতার সংকট রয়েছে। যে কারণে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় কমছে ভোগ্যপণ্যের দাম।
তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি ধস নামছে ভোজ্যতেলের বাজারে। একদিনের ব্যবধানে মণপ্রতি সবধরনের ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত। অথচ ভ্যাট কমানোর সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হলেও এখনো মিল থেকে রেট আসেনি। তার আগেই বিক্রি বাড়াতে দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড ব্রাদার্স-এর মালিক আলতাফ এ গফফার জানান, চিনির দর কমতি রয়েছে, বাড়তি দরে কেউ তো বিক্রি করতেছে না।
সাধারণ মসলা হিসেবে পরিচিত পেঁয়াজ-আদা এবং রসুনের দাম কমছে সমানতালে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা। তার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। দাম কমানোর ক্ষেত্রে ক্রেতা না থাকাও অন্যতম কারণ।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ মেসার্স কাজী স্টোরের মালিক জাবেদ ইকবাল বলেন, ভারতে রেট ১৫ টাকা কমেছে। পর্যাপ্ত আমদানির কারণে বাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
ক্রেতাশূন্য বাজারে কারসাজির সুযোগ না থাকায় ছোলার দাম কমেছে কেজিতে ১-২ টাকা।
মেসার্স এফ এম ট্রেডার্স-এর মালিক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি অনেক কম। মালের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দরও নিম্নমুখী।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের এ বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার কোটি টাকার পণ্য লেনদেন হয়। যে কারণে এখানে দর নিয়ে কারসাজিও হয় সবচেয়ে বেশি।