মানবতাবিরোধী অপরাধে সাতক্ষীরা জামায়াতের খালেক মণ্ডলসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড
নিউজ ডেস্ক:
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেক ও তার সহযোগী খান রোকনুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.শহিনুর ইসলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে, শুনানি শেষে এ মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় আসামি খালেক মণ্ডলের পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
চার আসামির মধ্যে খালেক গ্রেফতার, কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন। বাকি দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান ছিলেন পলাতক। বিচারচলাকালীন বাকী ও টেক্কা খান মারা যান।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
২০১৮ সালের ৫ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৫ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদরাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঐ বছরের ২৫ আগস্ট খালেকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহিদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান ট্রাইব্যুনাল।
শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহিদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।