সীমান্তের বাইরে গলদার রেণু জব্দ করতে পারবেনা বিজিবি: আইন শৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত
Post Views:
৫৩৩
দেবহাটা প্রতিনিধি:
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ব্যাতিরিকে বিজ্ঞান সম্মত পরীক্ষা-নীরিক্ষা, সুনির্দ্দিষ্ট প্রমানাদি বা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া দেবহাটাতে সরকারীভাবে ইজারা প্রদত্ত বৈধ বাজার থেকে ক্রয়-বিক্রয়কৃত গলদা চিংড়ীর রেণু জোরপূর্বক জব্দ বা বিনষ্ট না করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেবহাটা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা ও চোরাচালান নিরোধ কমিটির মাসিক সভায় সিদ্ধান্তক্রমে বিজিবিকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সাথে এসকল সিদ্ধান্ত সমূহের রেজুলেশনও করা হয়েছে। জেলায় গলদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য চাষী, খামারী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানী বন্ধ এবং সরকারীভাবে কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডের ইজারাগ্রহীতাদের আর্থিক ক্ষতিসাধণ বন্ধে আইন শৃঙ্খলা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ, আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুর রব লিটু, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুল হক, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার বন্দে আলী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসনের থেকে ইজারা প্রদত্ত কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডটি একটি বৈধ বাজার। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভূমিকায় থাকা সাদাসোনা খ্যাত গলদা চিংড়ির দেশীয় নদ-নদী থেকে আহরিত রেণু পোনা যুগযুগ ওই বাজারটিতে ক্রয় বিক্রয় হয়ে আসছে। বৈধভাবে ইজারাকৃত বাজার হওয়া স্বত্বেও গেল কয়েক বছর ধরে সেখান থেকে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা ক্রয় বিক্রয় করতে গিয়ে বিজিবি সদস্য কর্তৃক হয়রানীর শিকার হচ্ছেন মৎস্য চাষী, ব্যবসায়ীরা। এতে করে গলদা চিংড়ি চাষাবাদ ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় এবং রেণু পোনা ক্রয়-বিক্রয় কমে যাওয়ায় বছরের পর বছর তীব্রভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে আসছেন বাজারের ইজারাগ্রহীতারা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে নুন্যতম ১০ কিলোমিটার দূরে কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডটির অবস্থান হওয়া স্বত্বেও, সেখান থেকে ক্রয় বিক্রয়কৃত গলদা চিংড়ির রেণু মৎস্য ঘেরে নিয়ে যাওয়ার আগেই সেগুলোকে ‘ভারতীয়’ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক জব্দ ও বিণষ্ট করে ফেলছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র কতিপয় সদস্য। এতে করে জেলায় গলদা চিংড়ির চাষাবাদ ও কমে দিনদিন কমে যাচ্ছে এবং ব্যবসায়ী, বাজারের ইজারাগ্রহীতা এবং মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহে বিজিবি সদস্যদের এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও হয়রানীর অভিযোগ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সেজন্য সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবিকে সীমান্ত এলাকাতেই জব্দ করতে হবে গলদার রেণু পোনা। একইসাথে সীমান্ত থেকে বহুদূরে অবস্থিত সরকারি ইজারা প্রদত্ত বৈধ কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেড থেকে ক্রয়-বিক্রয় পরবর্তী কোন গলদার রেণু কেবলমাত্র ‘ভারতীয়’ আখ্যা দিয়ে জব্দ করতে পারবেননা বিজিবি সদস্যরা। বাজার থেকে ক্রয়-বিক্রয়কৃত গলদার রেণু জব্দ বা বিনষ্ট করতে হলে, সেগুলো যে ভারতীয় পোনা তার স্বপক্ষে সুষ্পষ্ট প্রমানাদি থাকতে হবে বিজিবি’র। একইসাথে অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গলদার রেণু পোনার বিজ্ঞান ভিত্তিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার করিয়ে সেগুলো যে ভারত থেকে এসেছে তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়। অপরদিকে চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসনের থেকে ইজারা প্রদত্ত কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডটি একটি বৈধ বাজার। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভূমিকায় থাকা সাদাসোনা খ্যাত গলদা চিংড়ির দেশীয় নদ-নদী থেকে আহরিত রেণু পোনা যুগযুগ ওই বাজারটিতে ক্রয় বিক্রয় হয়ে আসছে। বৈধভাবে ইজারাকৃত বাজার হওয়া স্বত্বেও গেল কয়েক বছর ধরে সেখান থেকে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা ক্রয় বিক্রয় করতে গিয়ে বিজিবি সদস্য কর্তৃক হয়রানীর শিকার হচ্ছেন মৎস্য চাষী, ব্যবসায়ীরা। এতে করে গলদা চিংড়ি চাষাবাদ ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় এবং রেণু পোনা ক্রয়-বিক্রয় কমে যাওয়ায় বছরের পর বছর তীব্রভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে আসছেন বাজারের ইজারাগ্রহীতারা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে নুন্যতম ১০ কিলোমিটার দূরে কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেডটির অবস্থান হওয়া স্বত্বেও, সেখান থেকে ক্রয় বিক্রয়কৃত গলদা চিংড়ির রেণু মৎস্য ঘেরে নিয়ে যাওয়ার আগেই সেগুলোকে ‘ভারতীয়’ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক জব্দ ও বিণষ্ট করে ফেলছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র কতিপয় সদস্য। এতে করে জেলায় গলদা চিংড়ির চাষাবাদ ও কমে দিনদিন কমে যাচ্ছে এবং ব্যবসায়ী, বাজারের ইজারাগ্রহীতা এবং মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহে বিজিবি সদস্যদের এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও হয়রানীর অভিযোগ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সেজন্য সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবিকে সীমান্ত এলাকাতেই জব্দ করতে হবে গলদার রেণু পোনা। একইসাথে সীমান্ত থেকে বহুদূরে অবস্থিত সরকারি ইজারা প্রদত্ত বৈধ কুলিয়া মৎস্য ও রেণু সেড থেকে ক্রয়-বিক্রয় পরবর্তী কোন গলদার রেণু কেবলমাত্র ‘ভারতীয়’ আখ্যা দিয়ে জব্দ করতে পারবেননা বিজিবি সদস্যরা। বাজার থেকে ক্রয়-বিক্রয়কৃত গলদার রেণু জব্দ বা বিনষ্ট করতে হলে, সেগুলো যে ভারতীয় পোনা তার স্বপক্ষে সুষ্পষ্ট প্রমানাদি থাকতে হবে বিজিবি’র। একইসাথে অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গলদার রেণু পোনার বিজ্ঞান ভিত্তিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার করিয়ে সেগুলো যে ভারত থেকে এসেছে তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়। অপরদিকে চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়।