স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় পটল
চিকিৎসা ডেস্কঃ
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি হচ্ছে পটল। অনেকেরই খুব পছন্দের সবজি এটি। পটল ভাজা হোক কিংবা পটলের তরকারি অথবা দই পটল। এসব পদ খেতে দারুণ লাগে। শুধু স্বাদ নয়, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ পটল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি।
তবে পটল খাওয়া শরীরের পক্ষে কতটা ভালো?ীমন প্রশ্ন অনেকের মনেই। বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ পটল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। পটল ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার প্রবণতাও কমায়। এই সবজি খেলে আরও যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
পটলের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এ কারণে নিয়মিত এই সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
পটলের বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি এক দিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে ঋতু বদলের সময়ে হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা হজম হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার একশো গ্রাম পটলে মাত্র ২০ ক্যালরি থাকে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন ও বুঝতে পারছেন না কোন খাবার খাওয়া উচিত তাদের জন্য পটল একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে
পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
পটল ও পটলের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান, কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।