সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক এসআই হুমায়ুন কবীরের স্ত্রীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশীট, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরী করে অন্যের জমি জবর-দখলের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক এস.আই এসএম
হুমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ভ‚মিদস্যু ছালাম গাজীসহ
৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া চার্জশীট গ্রহন করেছে সিনিয়র স্পেশাল জজ
আদালত। স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ
মফিজুর রহমান একই সাথে ওই মামলায় আসামীদের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীরও
আদেশ দেন। স্পেশাল মামলা নং- ০১/২২।
এ মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা
গ্রামের মাদার সরদারের স্ত্রী জবেদা খাতুন, সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের শেখ
আব্দুর রশিদ, মুন্সিপাড়ার বাবলু গাজীর পুত্র ভ‚মিদস্যু ছালাম গাজী, আলীপুর
চাপারডাঙ্গী গ্রামের বর্তমান ইউ.পি সদস্য জাহিদুর রহমান, পুরাতন সাতক্ষীরার
আলাউদ্দীনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম, সদর থানার সাবেক এস, আই এস, এম হূমায়ূন
কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন, পুরাতন সাতক্ষীরার রিয়াছাত আলী, তার স্ত্রী করিমন
বেগম ও সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম।
জানা যায়, আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের মৃত: আহম্মদ আলীর পুত্র শাহীন ইকবাল
২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাতক্ষীরা সদরের
সাব-রেজিস্টার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্যা, সদর থানার সাবেক এস.আই এসএম
হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ভ‚মিদস্যু ছালাম
গাজীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রতারনা ও জাল-
জালিয়াতিসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইন (২ নং আইন) এর ৫(২) ধারায়
পিটিশন ৩/১৮ নম্বর একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি
দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনাকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর
তদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর উপ সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল সাতক্ষীরা সদরের
সাব-রেজিস্টার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্যাকে আসামী থেকে আব্যাহতি দিয়ে তাকে
সাক্ষী শ্রেনীভুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। বিচারক
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান গত ২৪ ফেব্রæয়ারী ধার্য দিনে
চার্জশীট গ্রহন করে সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ
দেন। উক্ত আসামীরা পরস্পর যোগ সাজসে সাতক্ষীরা মৌজার ৫৬৭ ও ১৬২৭ এস, এ
খতিয়ানের ২৪৭১, ২৪৭২ ও ২৪৭৩ দাগের এক একর ১২ শতক জমির খাজনাজারী
মোকদ্দমার রায়, মিউটেশন, খন্ড খতিয়ান, চেক দাখিলা ও বর্তমান রেকর্ড জাল-
জালিয়াতি করে সদর সাব-রেজস্টারের মাধ্যমে জাল দলিল সৃস্টি করে জোর-পূর্বক
সম্পত্তির দখল নেয়। আদালত আগামী ১০ মার্চ এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য
করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)