কালীগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :
“টেকসই আগামীর জন্য
জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য।” স্লোগানকে সামনে রেখে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়। আজ ০৮ ইং মার্চ ২০২২ তারিখ মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার উপজেলা চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন, র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানি ঘোষ, ব্র্যাকের এসোসিয়েট অফিসার (সেলপ)হাবিবুর রহমান ও উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমূখ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নারী অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করতে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সচেষ্ট থাকবে এবং ব্র্যাকসহ সকল সংগঠনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এসময় নারী দিবসের প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করতে ও নারী অধিকার নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য,এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ সালে মজুরি-বৈষম্য, কর্ম-ঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়।ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ।

এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন।১৯১১ সাল থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে।

অতঃপর ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। ৮ই মার্চ সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)