তালায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

ইমরান হোসেন :
তালার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শিক্ষানুরাগী ও
সমাজসেবক ইন্দ্রজীৎ দাশ বাপী।
শনিবার(৫মার্চ) সকাল ১১টায় কপোতাক্ষ টাইমস কার্যালয়ে সাংবাদিক
সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে পাঠ করের তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ ফেব্রয়ারী-২০২২ ইং বিকাল ৫টায় তালা উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সভাপতিত্বে
জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচন
প্রক্রিয়াধীন ছিল। উক্ত নির্বাচনে কামরুল ইমলাম ও আমি ইন্দ্রজীৎ দাশ বাপী
প্রার্থী ছিলাম। তবে সেদিন নির্বাচন স্থগিত করেন মাধ্যমিক শিক্ষা
কর্মকর্তা।
সেদিনের ঘটনাক্রম সম্পর্কে কামরুল ইমলাম গত ৩ মার্চ তালা ডাক বাংলোয়
মিথ্যা তথ্য সরবারহ করে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সাংবাদিক
সম্মেলনে এস কে কামরুল ইসলাম তার পিতা কে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা দাবি
করেন যা আদেও সত্য নয়। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭২ সালে এবং
প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল উদ্দীন। আব্দুল মালেক যে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার
নাম খাঁন এ সবুর জুনিয়ার হাইস্কুল।
ইন্দ্রজীৎ দাশ বাপী বলেন, জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও
সাবেক সভাপতির দূর্ণীতির তথ্য পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে । এসকল ঘটনার
সুষ্ট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এই অনিয়ম ঢাকতে আমার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা। নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রধান
শিক্ষক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছেন। অবৈধ পন্থায় সাবেক সভাপতিকে
নির্বাচিত করানোর চেষ্টা করলে আমি প্রতিবাদ করি।
তিনি আরও বলেন, কামরুল ইসলাম দীর্ঘদিন সভাপতি থাকলেও কোনদিন জাতীয়
প্রগ্রামে অংশ গ্রহন করেননি এমনকি শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেননি।
বিষয়টি নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মধ্যে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে
নিশ্চিত পরাজয় জেনেও জনমনের ক্ষোভ আড়াল করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার
চালাচ্ছেন। ২৮ফেব্রæয়ারী জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা
কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। প্রধান শিক্ষকের পক্ষপাতিত্বের কারণে
পরিস্থিতি খারাপ হলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিত করেন।উল্লেখ্য-এর আগে অন্য প্রতিদ্ব›িদ্ধ প্রার্থী এস কে কামরুল ইসলাম ও দ্রæততম
সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)