ইউক্রেনে স্কুল ও আবাসিক ভবনে রুশ হামলা, নিহত ৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৮ জন।

পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে বৃহস্পতিবার রুশ বাহিনী স্কুলসহ বহুতল আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে হামলা  চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেসংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

চেরনিহিভ শহরটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। উত্তর দিক থেকে এই শহরটিতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সামরিক বাহিনী।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সেনারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এই এক সপ্তাহেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল। আর তাই জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।

চেরহিনিভ শহরের ডেপুটি মেয়র রেজিনা গুসাক এএফপিকে জানিয়েছেন, শহরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বোমা হামলা করেছে। এদিকে চেরহিনিভ শহরে রুশ হামলার বেশ কিছু ছবি সামনে এনেছে ইউক্রেনের জরুরি বিষয়ক দফতর।

ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, রুশ হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্টগুলো থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসছে এবং ভবনের ধ্বংসাবশেষ চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকারীদেরকে স্ট্রেচারে করে হামলায় নিহতদের মৃতদেহও বহন করতে দেখা যায়।

চেরনিহিভ অঞ্চলের গর্ভনর ব্যাচেস্লাভ চাউস টেলিগ্রামে বলেন, ‘রুশ যুদ্ধবিমান চেরনিহিভের স্টারায়া পদুসিকভা এলাকায় দু’টি স্কুলে এবং সেখানকার বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়েছে। উদ্ধারকারীরা ওই এলাকায় কাজ করছেন।’

এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালালেও মস্কো বরারবরই দাবি করছে যে, তারা বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে না। যদিও রুশ এই দাবির বিপরীতে ব্যাপক প্রমাণ রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)