সাতক্ষীরায় বৈচিত্র্য, আন্তঃনির্ভরশীলতা ও বহুত্ববাদী সমাজ বিষয়ক যুব কর্মশালা
ডেস্ক রিপোর্ট:
সাতক্ষীরায় বৈচিত্র্য, আন্তঃনির্ভরশীলতা ও বহুত্ববাদী সমাজ বিষয়ক যুব কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি সংলগ্ন সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব তানজির কচি।
কর্মশালায় দ্য এডিটরস এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এসএম হাবিবুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিকের গবেষণা সহকারী মাহিদা মিজান ও যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম।
কর্মশালায় বলা হয়, বৈচিত্র্য মানে নানা কিছুর সমাহার। এখানে একে অপরের সাথে নানাভাবে সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক কখনো নির্ভরশীলতার, কখনো সংঘাতের। বৈচিত্র্যর মূল শর্তই হলো সকলের সমমর্যাদা এবং স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থান। বৈচিত্র্য মানে সকলের উপস্থিতি এবং অস্তিত্ব মেনে নেয়া এবং সকলের উপস্থিতিকে শ্রদ্ধা ও মান্য করা। একইভাবে আন্তঃনির্ভরশীল সম্পর্কগুলো কখনোই সরলরৈখিক নয়, জটিল। অনেকটা জালের মতো। আন্তঃসম্পর্ককে বুঝতে পারলে দায়বোধ ও দায়িত্বশীলতা তৈরি হয়। দাম্ভিকতা এবং অহংকার লুপ্ত হয়। মানুষের অহংবোধ ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমে আসে। নিজের অস্তিত্ব কতভাবে কত কিছুর সাথে জড়িত তা বুঝতে পারলে উন্নয়ন সমানতালে ত্বরান্বিত হয়। আমাদের বিশ^াস করতে হবে কখনোই কোনো সমাজ একক প্রজাতি বা শুধু একধরণের সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। টিকেও থাকে না। সমাজ যত বেশি একক এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়, সমাজ যতবেশি অন্যকে গ্রহণ করার সামর্থ্য হারায় তত তার টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বহুত্ববাদি সমাজে সবাই একসাথে বসবাস করে। এখানে নির্ভরশীলতা আছে। আছে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রে এই বহুত্ববাদী সমাজের ধারণাটি রাষ্ট্র নিজে গ্রহণ করেছে।
কর্মশালায় ১৫জন যুব নারী-পুরুষ অংশ নেন।