তিন-চার দিনেই পতন হবে কিয়েভের, আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো ধারণা ছিল ইউক্রেনে হামলা চালানোমাত্রই তছনছ করে দেওয়া হবে পুরো রাশিয়া। তবে প্রকৃতপক্ষে হামলা শুরুর পরই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাহায্য করার জন্য বিদেশি একজন সেনাকেও সঙ্গে পায়নি ইউক্রেন। ফলে যুদ্ধের ময়দানে একাকিই তারা মোকাবেলা করছে পরাশক্তি রাশিয়ার। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, রুশ বাহিনীর হামলার চাপে কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন হবে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে কিয়েভে প্রবেশ করেছে রুশ বাহিনী। প্রথমে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলে রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে। তারপর সেই রাস্তায় দিয়ে ধেয়ে আসছে রুশ পদাতিক সেনা। এভাবেই ধীরে ধীরে কিয়েভে প্রবেশ করেছে তারা। আসার পথে ইউক্রেনের বহু স্থাপনা ধ্বংস হচ্ছে রুশ কামানের গোলায়। ফলে আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে যে কিয়েভের পতন এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তবে এ অবস্থাতেও মাথা নোয়াতে রাজি হচ্ছেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশের নাগরিকদের অস্ত্র তুলে যুদ্ধে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। তবে কোনো রাষ্ট্রকে পাশে না পেয়ে রাশিয়ার প্রতি যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মস্কো জানিয়েছে আত্মসমর্পণ করলেই কেবল হামলা বন্ধ হবে।
এখন ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ভবন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে রুশ সেনা। মার্কিন তিন কর্মকর্তা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কিয়েভের পতনের পর ইউক্রেনের প্রতিরোধ লড়াই অকার্যকর হয়ে পড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তাদের দাবি, মস্কোর নজর হলো প্রতিবেশী দেশটির অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করা। সেই লক্ষ্যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে আত্মসমর্পণে বাধ্য করবে। অন্যথায় সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। তাদের আশঙ্কা ৯৬ ঘণ্টাতেই কিয়েভের পতন হবে। আর তার এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের শাসনভার কোনো রুশপন্থী নেতার হাতে তুলে দেবেন পুতিন।
এখন ঝড়ো গতিতে ইউক্রেনের সরকারি এবং সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কৌশলগত পয়েন্টগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত বিমান ও গোলাবর্ষণ শেষ হওয়ার পরই আসল স্থল যুদ্ধ শুরু হয়। তাই অবস্থাদৃষ্টে আমার মনে হয় অল্প কয়েক দিনেই কিয়েভের পতন হবে। তারপর সেখানে পুতিন নিজের পছন্দমত কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে ইউক্রেন ছাড়তে পারেন।