সেন্ট মার্টিন যেতে দুটি জাহাজ চালানোর সিদ্ধান্ত
নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফের সঙ্গে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মাত্র দুটি জাহাজ চলাচলের সুপারিশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বিরল জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির (ফাংশনাল কমিটি) সভার ওই সিদ্ধান্ত আসে।
দ্বীপ সুরক্ষায় দেওয়া ১৩টি সুপারিশের মধ্যে সীমিত জাহাজ চলাচলের সুপারিশ করা হয়।
সরকারি-বেসরকারি ১৬টি সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ নিয়ে এই কমিটি কাজ করছে।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া সুপারিশ নিয়ে দ্বীপব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের আলোচনা সভায় দ্বীপে দুটি জাহাজ চলার বিষয় আলোচনা হয়। দুই জাহাজ চলাচলের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদফতরের নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গতকাল ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দ্বীপের বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় কোরাল পাথর তুলে সীমানা দেয়াল নির্মাণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিংশুক নামের একটি হোটেলের সেপটিক ট্যাংকের ময়লা পাইপের মাধ্যমে সাগরে ফেলায় জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
তবে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সীমিত করলে পর্যটনশিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে দাবি করেছে সি-ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব)। গতকাল জেলা শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে তারা। স্কোয়াবের সভাপতি তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।