ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৬৫৫ রোহিঙ্গা

নিউজ ডেস্ক:

১১ দফায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে ১ হাজার ৬৫৫ জন রোহিঙ্গা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজে করে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোয়াজ্জেম হোসেন ।

তিনি জানান, ১৬৫৫ রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সেখান থেকে নির্ধারিত ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ১ হাজার ৬৫৫ জন রোহিঙ্গা।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ১ হাজার ৬৫৫ জন রোহিঙ্গা।

মোয়াজ্জেম হোসেন আরো জানান, ৮৫ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে বেড়াতে এসেছেন এবং ১৫৫ জন ভাসানচর থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন তারাও একই জাহাজে ফিরে এসেছেন। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ২২ হাজার ৬০৪ জন।

এর আগে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অস্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন,  নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন এবং দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।

এছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ১ হাজার ৬৫৫ জন রোহিঙ্গা।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ১ হাজার ৬৫৫ জন রোহিঙ্গা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী হাতিয়ার কাছে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী করে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)