গ্রাম্য বিরোধের জেরে শ্যামনগরে মিথ্যা ধর্ষন মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
গ্রাম্য বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মিথ্যা ধর্ষন মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১২ টায় গ্রামবাসীর আয়োজনে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, আলহাজ্ব আজিজুল ইসলাম মোড়ল।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রামবাসীর পক্ষে রবিউল ইসলাম, জাগো যুব ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শেখ ফারুক হোসেন, মুন্সিগঞ্জ ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আনারুল ইসলাম, সাবেক মহিলা মেম্বর সেলিনা আক্তার শেলি, ভুক্তভোগীর পুত্র হাবিবুর রহমান, হাসিনা বানু প্রমুখ। মানববন্ধনে এলাকার সকল ধরনের মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং এধরনের মিথ্যা মামলায় একজনকে আটক করিয়ে হয়রানির তীব্র নিন্দা জানান।
বক্তারা বলেন, মুন্সিগঞ্জ ইউপির যতীন্ত্রনগর গ্রামের মৃত ইমান আলী গাজীর কন্যা হাসিনা বেগম স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে ০.৩৩ একর জমি রেজিষ্ট্রি কোবলা মূলে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। তার কোন সন্তান বা স্বামী না থাকায় উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেন একই এলাকার মৃত কফিল উদ্দীন মিস্ত্রির পুত্র হামজার আলী। এরই জের ধরে বিভিন্ন সময়ে তিনি হাসিনা বেগমকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন সময় মারপিটসহ নির্যাতন করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করেন আব্দুস সালাম তরফদার। এর জের ধরেই হামজার আলী তাকে হয়রানি করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন। একপর্যায়ে হামজার আলী নিজের ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াইটার সময় তার ঘরে ঢুকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেন। অথচ এ ঘটনার পূর্বে আব্দুস সালাম তরফদারকে একটি মৎস্য ঘেরের মধ্যে মারপিট করে প্রায় অচেতন অবস্থায় তাদের ঘরের মধ্যে নিয়ে এসে পুলিশকে ফোন দেন। অত্র এলাকায় আমার পিতার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ কোন ছিল না। হাসিনা বেগমের দায়ের করা মারপিটের মামলার হাত থেকে বাঁচতে হামজার আলী তার নিজের মাঝ বয়সী স্ত্রীকে দিয়ে একটি মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলা করে তাকে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি চক্রান্তের শিকার। বক্তারা অবিলম্বে তারা মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানসহ নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।
মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। কিন্তু আব্দুস সালাম তরফদারের সাথে স্থানীয় আব্দুস সবুর ও হামজার আলীর বিরোধ রয়েছে।
স্থানীয় গোলাম ফারুক বলেন, ধর্ষনের মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে প্রতিপক্ষের সাথে সালাম তরফদারের বিরোধ ছিলো। এ কারনেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
শ্যামনগর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিইে তাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সত্য মিথ্যা তদন্তের জানা যাবে।
Please follow and like us: