করোনার সংক্রমন নিয়ে চিন্তা নেই অলিম্পিক আয়োজকদের
শীতকালীন অলিম্পিককে সামনে রেখে অংশগ্রহনকারী দেশগুলো বেইজিংয়ে আসার পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি অলিম্পিক সংশ্লিষ্ট ৪৫টি নতুন করোনা পজিটিভ কেস শনাক্ত করা হয়েছে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কিন্তু আয়োজক কমিটি বিষয়টি নিয়ে মোটেই শঙ্কিত নয়।
তাদের মতে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে। সাতদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ১৯। ২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ জনে। এনিয়ে অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত সর্বমোট ৫৫ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
গেমস আয়োজক কমিটি জানিয়েছে এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এনিয়ে তারা মোটেই চিন্তিত নয়। তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অংশগ্রহনকালী খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী শুধুমাত্র তাদের জন্য নির্ধারিত আবাসন ও অলিম্পিক ভেন্যুর বাইরে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
এর মধ্যে মিডিয়া সেন্টার থাকলেও সেখানে কেবলমাস অফিসিয়াল ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমেই যাতায়াত করার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেয়া হয়েছে।
এবারের গেমসে চায়নায় বসবাসকালী বিদেশী নাগরিকদের জন্য ভেন্যুগুলোর দরজা উন্মুক্ত রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে টোকিওতে এ ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
গেমসের উপ-মহাপরিচালন হুয়াং চুন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে পজিটিভ কেসের সংখ্যা প্রতিদিনই ভিন্ন হবে। গতকালও বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০টি ভিন্ন ফ্লাইটে অলিম্পিকে অংশগ্রহনের জন্য খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা এসেছেন। এর মধ্যে অনেক ফ্লাইটই মধ্যরাতে অবতরন করেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু সংখ্যা পরের দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে।
বেইজিংয়ে আসা প্রত্যেককেই নিজ দেশ ছাড়ার অন্তত ৯৬ ঘন্টা আগে পিসিআর টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ হতে হবে। এরপর তাদেরকে বেইজিং বিমানবন্দরে আবারো পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও চায়নায় থাকাকালীন প্রতিদিনই তাদেও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
এখন পর্যন্ত ২৮৭৭ জন ক্রীড়াবীদ বেইজিংয়ে এসে পৌঁছেছেন। সব মিলিয়ে ২৯০০ জনের আসার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি দলের সাথে কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে গণমাধ্যম কর্মীও এসেছেন।
২৩ জানুয়ারির পর থেকে সব মিলিয়ে ৩৫৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ডজনখানেক ক্রীড়াবিদ রয়েছে যাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সুইস আইস হকি দলের দুজন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হয়েছেন।