উপরে মাটি নিচে ফাঁকা অভিনব কৌশলে বন্ধ করা হচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের পাইপ ও বাক্স কল
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগরঃ
কালীগঞ্জ সহ শ্যামনগর আংশিক এলাকায় অভিনব কৌশলে বন্ধ করা হচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের পাইপ ও বাক্স কল ৷ উপরে মাটি নিচে ফাঁকা ৷ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে কালীগঞ্জ সহ শ্যামনগর আংশিক এলাকায় বেড়িবাঁধের পাইপ ও বাক্স কল অপসারণ করেন কিন্তু আদৌও কি লোনাপানি উত্তোলন বা পাইপ ও বাক্স কল বন্ধ হয়েছে? এমন প্রশ্ন মুখো রচক হয়েছে ৷ একটি জরিপে জানাগেছে, উপকূল অঞ্চলে ৯৫% প্রভাশালী এবং অর্থশালীরাই মৎস্যঘেরীর মালিক ৷ আর এসব মৎস্যঘেরীতে লোনা পানি উত্তোলনের জন্য ঐ সব প্রভাশালী এবং অর্থশালীর মধ্যে একজন করে ব্যক্তি বাক্সকল নির্মান করে পানি বিক্রি করে আসছে ৷ কালিগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান ও শ্যামনগর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শহিদুল্লাহ নেতৃত্বে পাইপ ও বাক্স কল অপসারণ করা হলেও স্বর জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূনরায় মালিকরা আবারও পাইপ ও বাক্স কলের মাটি সরিয়ে লোনাপানি উত্তোলন করেছে ৷ তবে একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে যে, অভিনব কৌশলে বন্ধ করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের পাইপ ও বাক্স কল ৷ উপরে মাটি নিচে ফাঁকা ৷ অপসারণের নামে পাইপ ও বাক্স কলের দুই মুখ সাময়িক বন্ধ রাখা হয় ৷ যাতে করে পরে মালিকরা তাদের কার্যক্রম করতে পারে ৷ এদিকে শ্যামনগরে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখ থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে ৷ তবে তার আগেই বাক্সকল মালিকরা এখন ঢাকায় বসে আছে ৷ বিজ্ঞ আদালতের রিট রথ করতে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে ৷ শ্যামনগর উপজেলার সব থেকে কয়েকটি কলের মধ্যে বড় বড় ৩টি বাক্স কল রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা, ভেটখালী, মিরগাং ৷ যা দ্বারা প্রায় হাজার একর মৎস্যঘেরীতে পানি উঠে থাকে ৷ এবং বছরে তাদের আয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ৷ যার কারনে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই ৩ টি কলের সময় বৃদ্ধি করার জন্য অভিনব কায়দায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বুড়িগোয়ালীনি থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছেন ৷ যাতে করে বাক্স কলের মালিকরা বিজ্ঞ আদালতের রিট রথ করতে পারেন এবং এই কলগুলো ভাঙ্গতে না হয় ৷
একটি সচেতন মহল জানিয়েছেন, উপকূল অঞ্চলে কর্মসংস্থান থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ৷ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের বৃহৎ সুন্দরবন রক্ষা করতে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন ৷ এ অঞ্চলে লোনাপানি বন্ধ হলে মানুষ বছরে ৩বার ধান চাষ করতে পারবে এবং এলাকার কর্মসংস্থান থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে ৷ একজন মৎস্যঘেরীর পরিচালনাকারীর কাছ থেকে জানাগেছে, গত ৫ বছর তার ঘেরীতে কোন লাভ হচ্ছে না ৷ কিন্তু পরিবার স্বচ্ছলতার কারনে এবং লোনা পানির কারনে বাধ্য হয়ে ঘেরী পরিচালনা করছেন ৷ মন্তব্যের শিকলে বাঁধা এই সব মালিকরা শিকার করেছেন যে, তারা মৎস্যঘেরীর বন্ধ হলে এলাকায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং এখন ১জন ৫০ বিঘা জমিতে মৎস্যঘেরী পরিচালনা করে আর তখন ৫০ বিঘা জমিতে ১০ জন ধান চাষ করতে পারবে ৷
Please follow and like us: