শ্যামনগরে স্বামীর নির্যাতনের কারনে হাসপাতালে ১৪ দিন পর মারা গেলেন গৃহবধু
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও মৃত্যুর হাত থেকে রেহান পেল না গৃহবধু।নিহত গৃহবধু সাবিনা খাতুন (২৬) মুন্সীগঞ্জ মিরগাং গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী।২০১৫সালে ওহিদুল সাথে বিয়ে হয় মুন্সীগঞ্জ গ্রামের ওহাব মল্লিকের ছোট মেয়ে সাবিনা খাতুনের। সেখান থেকে তাদের মধ্যে সাংসারিক ভাবে কলহ লেগেই থাকতো। বিয়ের ২ বছর পর তাদের কোল জোড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান।সাবিনার পরিবারের পক্ষ থেকে জানায় গত ২১/১/২২ তারিখে তার স্বামী ওহিদুল তাকে শরীক ভাবে নির্যাতন করে।
পরের দিন সকালে সাবিনার বাবার বাড়িতে খবর পাঠায় যে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে।এ খবর শুনে তারা যেয়ে দেখে ঘরের বরন্দায় গলায় ওড়না দেওয়া আবস্থায় শুওয়ানো আছে। সাবিনাকে তার বাবার বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে।প্রথমে শ্যামনগর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি দেখে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখান থেকে ১৪ দিন পরে মৃত্যুর সাথে পান্জালড়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে মারা যায়।ময়না তদন্তের পর সাতক্ষীরা থেকে শনিবার সাবিনার লাশ তার বাবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ গ্রামে আনা হয়। এ ঘটনার বিষয় সাবিনার বাবা ওহাব মুল্লিক বাদী হয়ে শ্যামনগর থানা তিন জনের নামে অভিযোগ করেন।অভিযোগকৃত হল ওহিদুল ইসালাম, শহিদুল ইসলাম, রোকেয়া খাতুনের নামে।
সাবিনার বড় দুলাভাই জানান, প্রায় সময় সাবিনাকে মার ধর করত।এর আগে কয়েক বার মেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ গ্রাম্য ভাবে অনেক বার বিচার করা হয়েছে।এবার তার শরীরে অনেক নির্যাতনের দাগ দেখা যায়।
সাবিনার বাবা ওহাব মল্লিক বলেন, আমার মেয়েকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে আমাদের খবর দিয়েছে।আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
সাবিনার স্বামী ওহিদুল ইসলাম নির্যাতনের বিষয় অস্বিকার করে জানান,ঐ দিন দুপুরে ছেলেকে নিয়ে আমি একটু বোকাবকি করেছিলাম।রাতে আমার এক জায়গায় শুয়ে ছিলাম হঠাৎ চিয়ার পড়ার শব্দ শুনে।আমি আমার মা ও বোন যেয়ে তাকে নামিয়ে ডাক্তার খবর দেয়ে। ডাক্তার না আশায় শ্যামনগর হাসপাতাল ভর্তি করি।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরায় ভর্তি করি।
শ্যামনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান,আমাদের কাছে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি তবে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে আমাকে জানলো হল।আমি তাদেরকে জানাই।তার যদি প্রথমিক ভাবে আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা করতে চাইলে করতে পারে।
Please follow and like us: