সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ীর পাল পাড়ায় প্রতিমা ভাঙচুর হওয়া স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির প্রতিনিধি দল
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :
রাতের আধারে ৪টি কালী প্রতিমা ও নির্মাণাধীন ৫০ টি সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর হওয়া স্থান সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের পাল পাড়ায় খোঁজ-খবর নিতে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নির্দেশনায় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ তার প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে আগরদাঁড়ীর পাল পাড়ার ঘটনাস্থলে যান প্রতিনিধি দল। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ মৃত পরমেশ্বর পালের ছেলে রঞ্জন কুমার পালের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি দল। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী গ্রামে প্রতিমা শিল্পী রঞ্জন কুমার কুমার পালের কারখানায় সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতের কোন এক সময়ে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সহিংস ঘটনা জানতে পেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মহান জাতীয় সংসদে অধিবেশন থাকায় তিনি ঘটনাস্থলে যেতে না পারায় তার পক্ষে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। একটি চক্র হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানতে এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি। তিনি সাতক্ষীরায় এসে ক্ষতিগ্রস্থ আগরদাঁড়ি গ্রামের মৃত পরমেশ্বর পালের ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ রঞ্জন কুমার পালকে আর্থিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রতিমা ভাঙচুর হওয়া সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের পাল পাড়ায় ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নিতে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নির্দেশনায় প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ্য খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি, সাধারণ সম্পাদক তাপষ কুমার আচার্য্য, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম ও ফয়জুল কবীর প্রমুখ। আগরদাঁড়ী গ্রামের মৃত পরমেশ্বর পালের ছেলে রঞ্জন কুমার পাল জানান, তিনি ৪২ বছর যাবৎ নিজের বাড়িতে প্রতিমা শিল্পীর কাজ করে আসছেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তিনি সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ করতে করতে বাড়িতে চলে যান। তার কারখানায় ৫০টি নির্মানাধীন সরস্বতী প্রতিমা ও মঙ্গলবার রাতে পুজার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতকৃত চারটি কালী প্রতিমা ছিল। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি কারখানায় যেয়ে ওই সব প্রতিমা ভাঙচুর করা অবস্থায় দেখতে পান।