সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

এনিয়ে জেলায় বুধবার(২৬ জানুয়ারি)পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৭৮৩ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ জানুয়ারি বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ৭১ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এসময় র‌্যাপিড এন্টিজেন কীট ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৫২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে মোট ৫০ জন রোগী । এর মধ্যে ৬ জনের করোনা পজেটিভ ও বাকি ৪৪ জন সন্দেহজনক (সাসপেক্টেড)। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়। এছাড়া সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‌্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৫০ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ২৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, জেলায় ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৭ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ৪ জন।

বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ১৮০ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ১৭৪ জন। জেলায় প্রথম থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৭৮৩ জন। জেলায় গড় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ০৮ শতাংশ।

সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭২০ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৫ হাজার ৬৬৫ জন।

এদিকে সেনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯ লক্ষ ২ হাজার ৫১১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১৬ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লক্ষ ২১ হাজার ৭১২ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২১ হাজার ২২৮ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৪ জন। এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৭ হাজার ১৮ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)