যুক্তরাষ্ট্রের ৮,৫০০ সেনা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে: পেন্টাগন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, যুদ্ধের কাজে মোতায়েন করার জন্য দেশটির প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে যখন রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে তখন এ ঘোষণা দিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পেন্টাগন।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও মস্কো এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে এসেছে।
পেন্টাগন অবশ্য এখনই এসব সেনাকে ইউক্রেনে পাঠানোর কোনো কথা উল্লেখ করেনি। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, এসব সেনাকে শুধুমাত্র তখনই ইউক্রেনে পাঠানো হবে যখন ন্যাটো জোট ‘তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর’ সিদ্ধান্ত নেবে অথবা ইউক্রেন সীমান্তে জরুরি কোনোকিছু ঘটবে। তিনি দাবি করেন, আমেরিকা যে ন্যাটো জোটের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এর মাধ্যমে তার প্রমাণ দেয়া হয়েছে।
তবে ডেনমার্ক, স্পেন, বুলগেরিয়া ও হল্যান্ডের মতো ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো এরইমধ্যে পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে শুরু করেছে। রোববার হল্যান্ড থেকে বেশ কিছু এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান বুলগেরিয়ায় পৌঁছেছে এবং স্পেনের একটি যুদ্ধজাহাজ প্রায় ২০০ সৈন্য নিয়ে কৃষ্ণসাগর অভিমুখে রওনা দিয়েছে।
আমেরিকাসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো অভিযোগ করছে, ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের মতো ইউক্রেনকেও দখল করতে চায় রাশিয়া। তবে মস্কো এখন পর্যন্ত বলে এসেছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিপ্রায় তার নেই। রাশিয়া অবশ্য পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের বিস্তারের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছে।
ওদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন ইস্যুতে একটি অভিন্ন কৌশল অবলম্বনের বিষয়ে সোমবার বিকেলে তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন।