অসুস্থ্য অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে সুস্থ্য করলেন ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে অসুস্থ্য সেই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীর চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব নিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখলেন “সামাজিক ও রক্তদান সেবায় আমরা” সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. মফিজুর রহমান জুয়েল। গত ২৯’শে ডিসেম্বর ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করলেও পুষ্টিহীনতার কারনে নবজাতক সন্তানটি মারা যায়। এবিষয়ে ধর্ষিতার মা জানান, তাদের পরিবারের সবাই ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করেন। এর মধ্যে ছোট কন্যা (১৭) একেবারে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় সে বাড়িতে একা থাকতো। সুযোগ বুঝে শওকতনগর এলাকার হাফিজুর মোল্যার ছেলে হোসাইন মোল্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার কিশোরী কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে একদিকে আমরা গরিব তারউপর অল্পবয়সে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেয়ের চিকিৎসাসেবা নিয়ে দূচিন্তার পড়ি। পরবর্তীতে মফিজুর সাহেব বিষয়টি জানতে পেরে “সামাজিক ও রক্তদান সেবায় আমরা” সংগঠনটির মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের মেয়েকে আমাদের মেয়েকে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করে দেন। এসময় তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় প্রায় একমাসের মতো চিকিৎসাধীন ছিলো আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে। এই একমাসের চিকিৎসা সেবার ব্যয়সহ আমাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন তিনি। এবিষয়ে “সামাজিক ও রক্তদান সেবায় আমরা” সংগঠনটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. মফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা অফিসের মারফত বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। তবে ব্যবসা ও কর্মসূত্রে জেলার বাইরে অবস্থান করতে হয় আমাকে। একারনে, “সামাজিক ও রক্তদান সেবায় আমরা” সংগঠনটির মাধ্যমে আমি পরিবারটিকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছি। আজকে চিকিৎসাসেবা শেষে মেয়েটি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে বলে জেনেছি। তবে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যেভাবে তাদেরকে সসম্মানহানী করা হয়েছে সেটা কষ্টজনক। একারনে, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে মেয়েটি তার নায্য বিচার বুঝে পায়।
Please follow and like us: