‘আগামী ৫ বছরে বিশ্বের ৫০টি দেশে ডিজিটাল যন্ত্র রফতানি হবে’
নিউজ ডেস্ক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী ৫ বছরে বিশ্বের ৫০টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্র রফতানি হবে।
শনিবার সাভারের আশুলিয়ায় সিস্ফনি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন কারখানায় ‘হ্যান্ডসেট নেপালে রফতানি’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে ২০১৮ সালের পর থেকে দেশীয় কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট এ পর্যন্ত দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬৩ ভাগ পূরণ করছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল যন্ত্র আমদানিকারক দেশ থেকে বাংলাদেশকে উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশে রূপান্তরের জন্য ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনাসহ যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নের ফলে মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারী দেশ থেকে উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশে রূপান্তর লাভ করেছে বাংলাদেশ। গুণগত মানের সঙ্গে কোনো প্রকার আপস না করে বিশ্বের সেরা মানের মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং তূলনামুলক সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় মেড ইন বাংলাদেশ মোবাইল হ্যান্ডসেট সহসাই বড় একটি জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে তরুণ জনগোষ্ঠী। এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। মহাকাশ বিজ্ঞানে অধ্যায়ন না করেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিরবচ্ছিন্নভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অনুরূপভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎপাদন বিষয়ে লেখাপড়া না করেও দেশের ১৪টি মোবাইল কারখানায় প্রায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণী দক্ষতার সঙ্গে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মোবাইল কারখানাসমূহ উৎপাদন ইউনিটসমূহে দেখলে আন্দাজ করাই কঠিন হবে যে আমরা শিল্পোন্নত দেশ নই। সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অব্যাহত থাকবে। ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। তিনি কারখানাগুলোতে মোবাইল হ্যান্ডসেটের পাশাপাশি ট্যাব, কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ উৎপাদনে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ প্রমুখ।