শ্যামনগরে অবৈধ পাইপ ও বাক্স কল মালিকদের দৌড়ঝাপ-উপরী মহল ম্যানেজের চেষ্টা
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগর:-
শ্যামনগরে অবৈধ পাইপ ও বাক্স কল মালিকদের দৌড়ঝাপ, উপরী মহল ম্যানেজের চেষ্টা শুরু হয়েছে। উপজেলায় কয়েকটি বাক্স কল ও হাজারের উপর পাইপ লোনা পানি উত্তোলন করে বেড়ীবাঁধে ক্ষতি করে আসছে। অবৈধ পাইপ ও বাক্স কল যেখানে রয়েছে সেখানেই দেখা দিয়ে থাকে ফাঁটল।
একটি তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে যে, প্রতি বছর বাক্স কলের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বাক্স কলের মালিকরা। এরপরও পানি জোয়ার ভাটা করার ক্যানেল থেকে মাছ ধরার জন্য আলাদা ভাবে ইজারা দিয়ে থাকে তার থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বাক্স কলের মালিকরা। আর অবৈধ পাইপ বসিয়ে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্যঘেরী পরিচালনাকারীরা।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নির্বাহী প্রকৌশলী পাওর বিভাগ-১, বাপাউবো, সাতক্ষীরা‘র ২২.৩.২০২১ তারিখের ২৩৫৩ নং স্মরক মোতাবেক সাতক্ষীরা পাওর বিভাগ-১, বাপউবো সাতক্ষীরা‘র আওতাধীন কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর পাওর উপ-বিভাগের অধীনে বিভিন্ন স্থানে বন্য নিয়ন্ত্রন বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ করে স্বার্থন্বৈষী মহল কর্তৃক নির্মিত অবৈধ পাইপ ও বাক্সকল অপসারনের জন্য কালিগঞ্জ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মো: রোকনুজ জামান, সহকারী কমিশনা (ভূমি) ও শ্যামনগর, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব শহীদুল্লাহ সহকারী কমিশনা (ভূমি)‘কে নিয়োগ করা হয়েছে। কালিগঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মো: রোকনুজ জামান উপকূলীরে কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউনিয়নের কালুন্দী নদীর বসন্তপুর, হাড়দাহ, চিংড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধের পাইপ সহ বাক্স কল অপসরন শুরু করেন। এতে করে শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানের অবৈধ পাইপ ও বাক্স কল অপসরনে মালিকদের দৌড়ঝাপ, উপরী মহলের ম্যানেজের চেষ্টা শুরু হয়েছে। কি ভাবে অবৈধ পাইপ ও বাক্স কল টিকিয়ে রাখা যায় এই নিয়ে উপরী মহলে চলছে দেনদরবার।
দেনদরবার আড়াল করে অবৈধ পাইপ ও বাক্স কলের মালিকরা জানান, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি/অনুমোদন নিয়ে এসেছি। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ জানান, ২০০৯ সালের পর থেকে কোন পাইপ ও বাক্স কলের অনুমতি/অনুমোদন নেই। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শ্যামনগর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা সহ অপসরণ করা হবে।