সাতক্ষীরা শহরের প্রতিবন্ধীর সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাতক্ষীরার শহরের প্রতিবন্ধীর সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ আয়োজন করেন সাতক্ষীরা শহরের পারকুখালী গ্রামের ভুক্তভোগী সুমনা বেগম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং আমার বড় পুত্র আবু সুফিয়ানও প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী স্বামী এবং সন্তান নিয়ে কতিকষ্টে স্বামীর নামীয় ১.৫ কাঠা ভিটাবাড়ীতে বসবাস করে আসছি । কিন্তু একই এলাকার বেল্লাল হোসেন এবং তার পুত্র আমার স্বামীর সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে এক পর্যায়ে আমার স্বামীর কাছ থেকে বিভিন্ন কাজগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ৪ লক্ষাধিক টাকা ঋণ গ্রহণ করে । কিন্তু ওই ঋণ পরিশোধ না করে আমাদের সম্পত্তি বিক্রয় করে ঋণ পরিশোধের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে । অথচ আমার স্বামী ঋণ নেওয়ার অনেক আগে থেকেই প্রতিবন্ধী। তার প্রতিবন্ধীর কার্ডও রয়েছে । তারপরও কিভাবে একজন প্রতিবন্ধীর নামে টাকা দিলেন। তার স্ত্রী বা আতœীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ না করেই ব্যাংক কিভাবে ঋণ দিতে পারেন। সেটি আমাদের বুঝে আসে না। একজন প্রতিবন্ধীর কাছ সম্পত্তি ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই পর সম্পদ লোভী বেল্লাল এবং তার পুত্র রুহুল আমিন এই চক্রান্ত করে। ঋনের একটি টাকাও আমার স্বামী বা আমাদের দেয়নি । উক্ত সম্পত্তি যদি ব্যাংক নিয়ে নেয় তাহলে আমি দুই প্রতিবন্ধী নিয়ে কোথায় যাবো। আমরা একটি টাকাও গ্রহণ করিনি। অথচ অন্যের ঋণের কারনে আমাদের মাথা গোজার শেষ সম্বলটুকু হারানোর উপক্রম। ব্যাংকের লোকজন আমাদের বাড়ি যাওয়ার পর বিষয়টি আমি জানতে পেরে বেল্লাল এবং তার পুত্র রুহুল আমিনের কাছে কারন জানতে চাইলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ০৮/১০/২০২১ তারিখ আমাদের বাড়িতে আসে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে । আমি রাজি না হওয়ায় আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে এবং আমার ঘরে থাকা দেনমোহর ছাড়ানো স্বর্নের রুলি এবং একটা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে দুই প্রতিবন্ধী নিয়ে জীবন যাপন করছি। কিন্তু ওই বেল্লাল এবং রুহুল আমিনের ষড়যন্ত্রের কারণে আজ দিশে হারা । তারা ঋণ করেছে । তাদের সম্পত্তি রয়েছে । সেই সম্পত্তি ব্যাংক গ্রহণ করুক। কিন্তু আমাদের যেন ভিটে ছাড়া না করে। তাহলে প্রতিবন্ধী স্বামী এবং সন্তান নিয়ে আমাদের পথে বসতে হবে। আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই টুকু রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।