লকডাউনে মদ-পার্টির অভিযোগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন অতিথিদের নিয়ে মদ-পার্টির আয়োজনের ঘটনায় সমালোচার মধ্যে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাসরি পদত্যাগের দাবি উঠেছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
অবশ্য লকডাউন অমান্য করে নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টি আয়োজনের দেড় বছর আগের সেই ‘ভুলের’ জন্য বুধবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন বরিস জনসন। এরপর তার পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো ভিত্তি পায়।
বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ২০২০ সালের ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত পার্টি নিয়ে আমার এবং সরকারের ওপর জনগণের ক্ষোভ আমি অনুভব করতে পারছি। এটি স্বাভাবিক। কারণ, যাদের কাজ আইন প্রণয়ন করা- তারাই যদি আইনভঙ্গ করেন, তাহলে তা মেনে নেওয়া কষ্টকর।
উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাবসহ ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা বরিস জনসনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে স্কটিশ টরি নেতা ডগলাস রস-সহ উইলিয়াম র্যাগ, ক্যারোলিন নোকস এবং রজার গেলের মতো ব্রিটিশ এমপিরা বেশ জোরেশোরেই জনসনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে টরি নেতা ডগলাস রস জানান, বুধবার হাউস অব কমন্সে এমপিদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার পর বরিস জনসনের সঙ্গে তার ‘কঠিন কথপোকথন’ হয়েছে। তার ভাষায়, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে নিয়ম চালু করেছিলেন, সেটি ভঙ্গ করায় পদ ছাড়তে হবে বরিস জনসনকে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আরোপ করা লকডাউনের মধ্যে আয়োজিত পার্টির যে ঘটনাটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেটি ২০২০ সালের মে মাসের। যুক্তরাজ্যজুড়ে সেসময় লকডাউন চলছে। সংক্রমণ রুখতে জনসমাবেশ ও পার্টিসহ সবকিছুর ওপরই সেসময় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সেই বছর ২০ মে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ৪০ জনকে নিয়ে গার্ডেন পার্টি করেছিলেন বরিস জনসন।
সম্প্রচারমাধ্যম আইটিভি জানিয়েছে, পার্টিতে অংশ নিতে ইমেইলের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয় অতিথিদের। সেই ইমেল তারা দেখেছে। ‘ব্রিং ইয়োর ওন অ্যালকোহল’ (নিজের মদ নিজে আনো) গার্ডেন পার্টির আয়োজন করেছিলেন জনসন।
অবশ্য করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সে সময় সর্বোচ্চ মাত্র দু’জন বাড়িতে মিলিত হতে পারতেন। বার, রেস্তোরাঁ সব বন্ধ। আর সেই সময়েই কি না জনসন এই পার্টি করেন।