জন্মদিনের কেক খেতে ছাত্রী মেসে ছাত্র, ধরা পড়লেন অন্তরঙ্গ মুহূর্তে
অনলাইন ডেক্স:
পড়ছেন একই বিভাগে। সেই সুবাদে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। যদিও থাকেন মেসে। ৭ জানুয়ারি মেয়েটির ছিল জন্মদিন। আর জন্মদিনের কেকে কাটতে মেসে ঢোকেন ছেলেটি। তাও আবার রাতে। এ নিয়ে সন্দেহ জাগে আশপাশের মানুষের। দিতে থাকেন পাহারা। দীর্ঘক্ষণ পার হলেও ছেলেটি বের না হওয়ায় সন্দেহের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। শেষমেশ সবাই মিলে মেসে ঢোকেন। মেসে ঢুকতেই ছেলে-মেয়েকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখেন তারা।
ঘটনাটি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ত্বকী প্যালেসের পাশে ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাতে মেয়েটির জন্মদিন পালন করতে ছাত্রী মেসে ঢোকেন ছেলেটি। ভবনের তৃতীয় তলায় জন্মদিনের কেক কাটা ও খাওয়া শেষে তারা অবস্থান করেন। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী মেসে ঢুকে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলেন। স্থানীয়দের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ছাত্রটি কৌশলে বের হয়ে মেসের ছাদ থেকে ত্বকী প্যালেসের ছাদে লাফ দেন। পরে তাকে ধরে আটকে রাখেন।
এরপর ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রনেতা বিপুল হোসেন খান ও হোসাইন মজুমদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকতাও থাকতেন। পরে কর্মকর্তা, বাড়িওয়ালা মোজাম্মেল, ছাত্রনেতারা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিয়মিত কিছুদিন ধরে এমন ঘটনা চোখে পড়ছে। ছাত্রী মেসগুলোর সামনে গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্ররা অবস্থান করেন। মেসগুলোতে ঢোকার নিয়মনীতি না থাকার কারণে এমনটি ঘটছে। এলাকার মেসগুলোতে অশ্লীল কর্মকাণ্ড বন্ধ চাই আমরা। এসব বিষয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলো সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। হল বন্ধ হওয়ার পরও অনেক ছাত্র-ছাত্রী আপত্তিকর অবস্থায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেন। এ নিয়ে বিরক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। রাতে ক্যাম্পাসে সহকারি প্রক্টর হাঁটলেও এসব বিষয়ে তিনি উদাসীন বলে অভিযোগ অনেকের।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। এখন বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। ক্যাম্পাসে গিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রীদের হল বন্ধ হওয়ার পর রাতে ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।