এবাদতের অর্জনে, সুখের গর্জনে পরিবার
এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে চরমভাবে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তার এই কীর্তিতে এবাদতের নিজ এলাকায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বইছে আনন্দের জোয়ার। এবাদতের পরিবারও বেশ খুশি।
এই স্যালুটেই লুটপাট হয়ে গেছে, হয়ে গেছে ভাঙচুর, নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট তল্লাটের এপাড়া ওপাড়া, চরম খরার দিনে বাংলার ক্রিকেটে ঝরেছে শাওনধারা, যে ছিলো এতোদিন অনেকেরই চোখের বালি, তার জন্যই চারিদিকে কেবল ভালোবাসা আর হাততালি।
আসমানে ডানা মেলার স্বপ্ন নিয়ে বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবাদত, সেখান থেকে ভলিবলে ছোটা, যদিও বুকের ভেতর তার গোপণ প্রেম হয়েছিলো ক্রিকেট, স্বপ্ন ছিলো বাইশ গজে গতি আর সুইংয়ে বাজিমাত করা। সুযোগ এলো, পেসার হান্টারে। তারপর থেকে ক্রিকেটে ছুটে চলা।
যদিও হান্টার তার শিকার ধরতে পারছিলেন না, আসছিলো না কাঙ্ক্ষিত সাফল্য, দশ টেস্টের দশমী কাটিয়ে শিকারী ঈগল হয়ে উঠলো মৌলভীবাজারের বড়লেখার ছেলেটা, বিশ্বমঞ্চে বড় করেই লিখলেন নিজের নাম, এতো দিন যে ছিলো নিন্দুকের বন্দুকের মুখে, তারাই এখন গাইছে তার জয়গান।
এবাদতের এমন অর্জনে, সুখের গর্জনে পরিবারের মুখও হয়েছে উজ্জ্বল, সবুজ ঘাসের ডগায় যেনো পড়লো শিশিরের স্নিগ্ধ কোমল জল, বাবার বুকটাও গেছে গর্বে ভরে, ছোটো ভাইটাও দারুণ খুশি।
অর্জনের দেরাজে অনেক স্মারক আছে, আছে জমা নানা মুহূর্তের সাক্ষী কয়েকটা বলও, তারপরও নিউজিল্যান্ড থেকে এবাদত যে বলটা নিয়ে আসবেন, তার ওজনটাও হয়তো হবে সবচেয়ে বেশি। এলাকাবাসীর সামনেও ফিরে এসেছে শৈশবে বলের গতিতে পাড়া মাতানো দুরন্ত ছেলেটার নানা উড়ন্ত স্মৃতি।
খারাপ করলে সমালোচনা হবেই, ভালো করলে মিলবে প্রশংসার ঝুরি, সাবেক বিমানসেনা এবাদত সেকথা তো ভালো করেই জানেন, যেমন জানেন সামরিক তরিকায় প্রতিপক্ষের দিকে স্যালুটটা ছুড়ে দিতে, সব প্রেডিকশান আর সমালোচনা মিথ্যে প্রমাণ করে, এবাদতরা এমন সাফল্য নিয়ে আসুক বাংলার ঘরে ঘরে, পুরো দেশ এক হয়ে বলুক, জোরসে আগাও হে নওজোয়ান, তোমাকে স্যালুট।