লকডাউনের আশঙ্কা প্রকাশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক:
করোনা সংক্রমণের হার বাড়লে লকডাউনে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ উদ্বোধনকালে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের লকডাউন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সংক্রমণের হার বাড়লে লকডাউনে যেতে হতে পারে।
এ সময় তিনি বলেন, জানুয়ারিতে ৪ কোটি ডোজ টিকার দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশের ১২ কোটি মানুষেকে আমরা সেকেন্ড ডোজ দিয়ে দিতে পারবো। পাশাপাশি বুস্টার ডোজও আমরা দিয়ে দিতে পারবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাদান কার্যক্রম বেগবান করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টিকা দেওয়া হবে।
বুস্টার ডোজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমানসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ।সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।