সিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
শীতকালীন অন্যতম একটি সবজি হচ্ছে সিম। যা শীতকাল ছাড়া বছরের অন্য সময় পাওয়া কঠিন। সিম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিতেও ভরপুর। শীতের সবজি শিম শরীরের নানা উপকার করে। দূরে রাখে অনেক রোগ থেকেও।
শিমে রয়েছে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ। তার সঙ্গেই রয়েছে ফাইবার, আয়রন এবং ক্যালশিয়াম। ফলে শিম নিয়মিত খাওয়া গেলে নানা দিক থেকে উপকার হয় শরীরের। চলুন সিমের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ
অনেকটা ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস সুরক্ষায়
শর্করা ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস বশে রাখার ক্ষমতা আছে।
চুল পড়া কমায়
প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকায় চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে শিম।
অস্থিসন্ধির জন্য
হাড়ের সংযোগস্থলের সুরক্ষা দেয় এবং অস্ট্রিও আথ্রাইটিস রোগ হওয়ার শঙ্কা কমায়।
ত্বকের আর্দ্রতা দূর করে
অনেকটা পানিও থাকে এই সবজিতে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা দূর করতেও সাহায্য করে শিম।
হৃদরোগীদের জন্য
যারা নিয়মিত শিম খান, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
এই সবজির পাচক আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর স্যাপোনিনস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে।
ওজন কমাতে
শিমের আঁশ দ্রুত ভরে ফেলে পাকস্থলী। এছাড়া রক্তে চিনি আসার পারিমাণও কমিয়ে রাখে। শরীরকে শক্তি দেয়। অন্যদিকে, ওজন বাড়তে বাধা দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে শিমে। এতে ইসোফ্লাবোনেস, ফাইটোস্টেরলসের মতো ক্যানসার-প্রতিরোধী উপাদান থাকে।
সিমের রয়েছে কিছু অপকারিতাও
কারো কারো শিম খেলে মাইগ্রেনের তীব্রতা বাড়তে পারে। মাথাব্যথা হতে পারে। এছাড়া শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে শিম খাওয়া বাদ দিতে হবে। যারা বিষণ্নতার জন্য মনো-অ্যামাইন অক্সিডেস ইনহিবিটর খান, তাদের জন্য শিম বাদ দেওয়াই ভালো। এই সবজির উপাদান এসব ওষুধের সংস্পর্শে এসে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।