গুলিতে নিহত স্বামী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হলেন স্ত্রী শেফালী
নিউজ ডেস্কঃ
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ১৪ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বানিবহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফের স্ত্রী শেফালী আক্তার।
আব্দুল লাতিফ চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তার স্ত্রী শেফালীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বেসরকারিভাবে শেফালী আক্তারের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বানিবহ ইউনিয়নে শেফালী আক্তার একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তাই ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কোনো ভোট হয়নি।
শেফালী আক্তার বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তার স্বামী আবদুল লতিফ মিয়া ছিলেন বানিবহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন তিনি। ১১ নভেম্বর রাতে জনসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছেন।
শেফালী আক্তার বলেন, আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েছি। এই ইউনিয়নকে ঘিরে আমার স্বামীর যে স্বপ্ন ছিল আমি তা পূরণ করব। এই ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে দল থেকে আমার স্বামীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। ইউনিয়নে তার অনেক জনপ্রিয়তা দেখে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। আমি স্বামীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারিনি। আমার স্বামীকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।