ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন বুকের কফ
চিকিৎসা ডেস্ক :
শীত মানেই শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দেয়া। এর মধ্যে ঠাণ্ডা লেগে বুকে কফ জমে যাওয়া অন্যতম। সঠিক নিরাময় না হলে এর দ্বারা শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাইতো এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেছে নেন ওষুধ।
জানেন কি, ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সর্দি, কফ খুব সহজেই দূর করা সম্ভব। এছাড়াও এসব উপায়গুলো অনুসরণ করে খুব অল্প দিনেই এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত-
>> লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার করে থাকে।
>> বুকের সর্দি, কফ দূর করতে সহজ উপায় হলো লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার কুলকুচি করুন।
>> সম পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম গরম এই পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এছাড়াও পেঁয়াজের ছোট টুকরো খেতে পারেন।
>> এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয়টি দিনে দুই তিনবার পান করুন। পানীয়টি এক থেকে দুই সপ্তাহ পান করলেই দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।
>> এক টেবিল চামচ আদা কুঁচি পানিতে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। পানি ফুটে আসলে এতে সামান্য মধু দিয়ে দিন। দিনে তিনবার এই পানীয়টি পান করুন। এছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া, লবঙ্গের গুঁড়া, দুধ অথবা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। তাছাড়া আপনি চাইলে এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চিবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
>> হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়া মেশান। এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।