বিজিবি দিবস আজ
নিউজ ডেস্কঃ
আজ রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিজিবি দিবস। সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-২০২১ উদযাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গতকাল রোববার সকাল ১০টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোঃ শাফিনুল ইসলাম এ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাহসী ও উজ্জ্বল অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি’র আট সদস্যকে বিজিবি পদক, রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড সার্ভিস পদক এবং বিজিবি পদক-সেবা প্রদান করেন।
এদিকে, বিজিবি দিবস-২০২১ উপলক্ষে বিজিবি সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষা, সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও দুর্যোগকালীন উদ্ধার কর্মকাণ্ডে বিজিবি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতিটি সদস্যকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।
বিজিবি দিবস-২০২১ উপলক্ষে বিজিবির সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি ২২৬ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী বাহিনী। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর সাহসী ও গৌরবময় ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে বিজিবির নাম ছিল ইপিআর অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্স। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’।
২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআরের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জওয়ান সংঘটিত করে ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। কিন্তু বিডিআর আইনে দোষীদের নগণ্য শাস্তির বিধান থাকায় আইন পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।