শরীরের যেসব উপকার করে শীতকাল

চিকিৎসা ডেস্কঃ

শীতকালের শরুর দিকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায়  এমনিতেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব দিক চিন্তা করে শীতের আগমনে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তবে এ কথাও ঠিক যে, শীতের ঠাণ্ডা আমাদের শরীরের উপকারেও লাগে।

শীতের ঠাণ্ডা আমাদের শরীরের যেসব উপকার করে :  

ঘুমের ঘাটতি দূর করে :

নানা কাজের চাপ আর নানা চিন্তায় আমাদের জীবন থেকে ঘুম হারিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে রেস্টের সুযোগ না থাকায় শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এ কারণে বেড়েই চলছে নানাবিধ রোগ। তবে শীত ঘুমের ঘাটতি দূর করে। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ঠাণ্ডায় শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ঘুম আসতে সময় লাগে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর সময় ঘরের তাপমাত্রা যদি ১৫ দশমিক ৫ থেকে ১৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকে, তাহলে সব থেকে ভালো ঘুম হয়।

খাবারের রুচি বাড়ে :

শীতকালে আমাদের খাবারের ইচ্ছে বেড়ে যায়। ফলে ভালো-মন্দ খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এ কারণে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে ভিতর থেকে শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে রোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ওজন হ্রাস পায় :

ঠাণ্ডার সময় শরীর প্রতি মুহূর্তে নিজেকে গরম রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এই কাজটা শরীর করে থাকে চর্বি গলানোর মধ্যে দিয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ বার্ন হতে শুরু করায় ওজন কমতে শুরু করে। শীতকালে আমাদের শরীরে জমতে থাকা খারাপ ফ্যাট বা ব্রাউন ফ্যাট গলতে শুরু করে। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না।

শীতকালে আরেকভাবে ওজন কমে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে,  ঠাণ্ডার সময় আমাদের কাঁপুনি হয়েই থাকে। এমনটা হওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে চর্বি ঝরতে শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করলে যে পরিমাণ চর্বি ঝরে, সেই একই পরিমাণ ঝরে প্রায় ১৫ মিনিট কাঁপুনি হলেও।

শরীরের প্রদাহ কমে :

ঠাণ্ডার মৌসুমে শরীরের ভেতরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমশন কমতে থাকে। ফলে যে কোনো প্রকার যন্ত্রণা কমতে সময় লাগে না। শীতকালে যেমন ব্যথা লাগার আশঙ্কা বাড়ে, তেমনি যন্ত্রণাও কমে খুব তাড়াতাড়ি।

মানসিক অবসাদ দূর হয় :

ঠাণ্ডার সময় আমরা সহজে বাড়ি থেকে বেরতে চাই না। অনেকটা সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ মেলে। স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেস কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পায়।

মশাবাহীত রোগের প্রকোপ কমে :

ঠাণ্ডায় মশারা এত মাত্রায় কাবু হয়ে পড়ে যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং ম্যালেরিয়ার প্রকোপ স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পায়।

ত্বকের উন্নতি ঘটে :

আমাদের অনেকের মনে হয় যে শীতকাল মানেই আমাদের ত্বকের বারোটা বেজে যাওয়া। বাস্তবে কিন্তু ঠাণ্ডার সময় ত্বকের নানাভাবে উপকার হয়। শীতকালে শিরা-ধমনীতে রক্তে সরবরাহ বাড়ে। এতে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ত্বকের আর্দ্রতা হারানো ছাড়া আর কোনো স্কিনের সমস্যা কিন্তু শীতকালে হয় না।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)