বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে এক চোরাকারবারি কর্তৃক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শাঁখরা কোমরপুর এ.জি মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে একাধিক মামলার আসামী ও চোরাকারবারি
কর্তৃক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চক্রান্ত এবং নানা মিথ্যাচারের
প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের
আয়োজন করেন, দেবহাটা উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র
আহমেদ শরীফ ইকবাল।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাঁখরা
কোমরপুর এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন
অত্যান্ত সুনামের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করে যাচ্ছি। লেখাপড়ার
মান উন্নয়নের সাথে সাথে বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সাথেও পরিচিত। গত ২০১৯ সালে সাতক্ষীরার একজন
চোরাকারবারি শাঁখরা কোমরপুর এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি
মনোনীত হন। কিন্তু চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারনে গত
৩১/১২/২০১৯ তারিখে শহরের পলাশপোল এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশের
হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকার কারনে প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন উত্তোলন নিয়ে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে।
পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন উত্তোলন
করেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির ভোট
অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বর্তমানে তিনি হারানো পদ
ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ম্যানেজিং কমিটির
ভোট বানচাল করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্থ্যাৎ আমার বিরুদ্ধে
গভীর চক্রান্ত শুরু করেছেন। এ কারনে একের পর এক সাংবাদিকদের দিয়ে পত্র-
পত্রিকায় মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। গত ১১ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির
মনোনয়ন বিক্রয়ের তারিখ নির্ধারণ ছিলো। অন্যদিন আমার প্রতিষ্ঠান ২টা
পর্যন্ত খোলা থাকলেও সেদিন আমরা ৩ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম।
কিন্তু ওই চোরাকারবারির নির্দেশে ৩টার পরে জনৈক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে
গেটের তালাবদ্ধ ছবি তুলে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা সাংবাদ পরিবেশন করে
আমাকে হয়রানির চেষ্টা করেন। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, তার মত চোরাকারবারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হলে
শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অভিভাবকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
যেহেতু তার কারনে ইতোপূর্বে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হয়েছে। তিনি
ওয়ান ইলিভেনেও গ্রেফতার হয়েছিলেন। সে সময় তার ৭ বছর কারাদন্ডও দিয়েছিলেন আদালত। তিনি আবারো প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হওয়ার উদ্দেশ্যে
ভোট বানচাল করতে এষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আমাকে হত্যাসহ
মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ নানান ভাবে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন
করে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই চোরাকারবারির কবল
থেকে শাঁখরা কোমরপুর এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি রক্ষা পূর্বক
ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং নিজের জীবনের
নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু
হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।