বটিয়াঘাটা হাটবাটি থেকে পুতুল নামের ১ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার
খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়ন হাটবাটি এলাকা থেকে সোমবার সকালে পুতুল নামের এক গৃহ বধুর লাশ উদ্ধার করেছে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাতাক্ষ দর্শি ও সরোজমিনে থেকে জানাযায়,গত ১২ ডিসেম্বর রবিবার সদর ইউনিয়নের হাটবাটি গ্রামে প্রকাশ মিস্ত্রির বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার শালী পুতুল রানী। নিহত পুতুলের বাড়ি উপজেলা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৃত্তিশলুয়া গ্রামের মৃত মহেন্দ্রনাথ মন্ডলের কন্যা তিলোত্তমা মন্ডল পুতুল (৪০)। স্বাভাবিক ভাবে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
পার্শ্ববর্তী স্থানীয় বিজয় গাইন বলেন, রাত তখন আনুঃ ৩ টা বাজে,এসময় প্রকাশ ও তার স্ত্রী দিপিকা মিস্ত্রি একটি ঘেরের মধ্য দিয়ে দৌড়ে এসে আমার বাড়িতে আসে। এসেই তারা আত্মচিৎকার করতে থাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। তখন আমরা ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেখি প্রকাশ ও তার স্ত্রী আমার উঠানে দাঁড়ানো। তাদের সারা শরীরের রক্তে ভিজে গেছে। তাদের দুজনের মাথায় হাতে বিভিন্ন স্থানে রক্ত লাগানো। তখন আমি কারণ জানতে চাইলে প্রকাশ বলে, আমাদের বাড়িতে কারা এসে আমাদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। আমার শালিকেও ঘরের ভিতর থেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাকেও অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে।
পরে স্থানীয়রা প্রকাশ ও তার স্ত্রীকে দ্রুত বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। রক্তাক্ত জখম আহত প্রকাশের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,গভীর রাতে কে বা কারা অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারপর তারা অস্ত্র দিয়ে আমাদের ৩ জনকে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি আমার স্ত্রী দৌড়ে পালিয়ে পাশের বাড়িতে ঠাঁই নেই এবং আমার শালি পুতুলকে তারা টেনে-হিঁচড়ে ঘরের ভেতর থেকে বের করে বাগানের ভেতর নিয়ে যায়।তারপর আমি কিছুই বলতে পারি না।
এঘটনায় বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুতুলের লাশ উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে প্ররণ করেন। সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোঃ শাহ জালাল ও খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দাকোপ সার্কেল) মোঃ রাশেদ হাসান। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।
Please follow and like us: