বন্যপ্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকার জন্য মসজিদে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ।
তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হাজরাকাটী জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় জহর হাসান সাগর এর পক্ষে থেকে বন্যপ্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকার জন্য মানুষকে সচেতন বৃদ্ধি করার জন্য মসজিদের ইমাম সাহেবের মাধ্যমে মুসলিমদের সামনে বন্যপ্রাণী আইন সম্পর্কে আলোচনা করেন।
হাজরাকাটী পুরাতন মসজিদের হাফেজ সাহেব বুলবুল হোসেন শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ পড়ার আগের মুহূর্তে মসজিদের সকল মুসল্লীদেরকে বলেন। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন -২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকার, ও আটক, হত্যা, ক্রয়- বিক্রয় ও পাচার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানা। এসব বিষয় নিয়ে উক্ত মসজিদে আলোচনা করে মানুষদেরকে সচেতন করেন।
এবং তিনি আরো বলেন। পাখি হল প্রকৃতির কীটনাশক।এরা কীটপতঙ্গ ও নোংরা আবর্জনা খেয়ে রোগ বালাই দমন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
তাই পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমাদেরকে বন্য প্রাণী কে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এখন থেকে আপনারা আর কেউ পাখি শিকার করবেন না।
এ বিষয়ে জহর হাসান সাগর বলেন — আমি ওয়াইল্ড লাইফ মিশন তালা সাতক্ষীরা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করি। গত ২১শে (নভেম্বর) বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা ১০ দিনের প্রশিক্ষণ করি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে সোনাডাঙ্গা, খুলনা।
আয়োজন করেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনা। অর্থায়নে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্হল উন্নয়ন প্রকল্প।
তিনি আরো বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মধ্য দিয়েই পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে। সারা বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ, বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার, বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা, বন ও বনভূমি হ্রাস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর বন্যপ্রাণী ছিল। আমাদের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে গত কয়েক দশকের ব্যবধানে আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একশিঙা গণ্ডার, বারশিঙা, প্যারাহরিণ, রাজশকুন, বাদিহাঁস, গোলাপীশির হাঁস, ময়ূর, মিঠাপানির কুমির, ইত্যাদি।
শকুন ও বিলুপ্তপ্রায়।
আমি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারাও আমার সঙ্গে এগিয়ে আসুন।
Please follow and like us: